শিরোনাম: খেলোয়াড়দের অধিকার রক্ষায় এনসিএএ-এর সিদ্ধান্ত, বিতর্কের মধ্যে নতুন পরিকল্পনা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ পর্যায়ের ক্রীড়া সংস্থা, ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন (এনসিএএ)-এর খেলোয়াড়দের জন্য ২.৮ বিলিয়ন ডলারের একটি ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো, দলের সদস্য সংখ্যা কমানোর ফলে খেলোয়াড়দের ওপর যে প্রভাব পড়েছে, তা কমানো।
নতুন এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, খেলোয়াড়দের অধিকার আরও সুসংহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আদালতের নির্দেশে এনসিএএ এই পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে। মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিভিন্ন দলের সদস্য সংখ্যা সীমিত করার কথা ছিল।
এর ফলে অনেক খেলোয়াড় দল থেকে বাদ পড়ার ঝুঁকিতে ছিলেন। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, যে সকল খেলোয়াড় দল থেকে বাদ পড়েছেন, তারা এখন আবার দলে ফিরে আসার সুযোগ পাবেন।
এমনকি অন্য কোনো কলেজেও খেলার সুযোগ তাঁদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এই খেলোয়াড়দের নতুন নিয়মের আওতায় আনা হবে না। অর্থাৎ, দলের সদস্য সংখ্যার সীমাবদ্ধতা তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচারক ক্লডিয়া উইলকেন এই বিষয়ে তাঁর মতামত দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, খেলোয়াড়দের অধিকার রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।
তাঁর মতে, খেলোয়াড়দের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বাদ পড়া খেলোয়াড়দের সুরক্ষার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এই নির্দেশের পরেই মূলত নতুন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।
আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফুটবল দলের জন্য ৮৫ জন এবং কুস্তি দলের জন্য ৯.৯ জন খেলোয়াড়ের সীমাবদ্ধতা ছিল। নতুন নিয়মে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ফুটবলের জন্য ১০৫ এবং কুস্তির জন্য ৩০ জন করা হয়েছে।
যদিও কোনো কলেজ চাইলে তার দলের সকল খেলোয়াড়কে স্কলারশিপ দিতে পারবে, তবে এতে তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক খেলোয়াড়, বিশেষ করে যারা আংশিক স্কলারশিপ পান, তাঁদের দল থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।
এই পরিবর্তনের ফলে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আসা নতুন খেলোয়াড়দেরও সুবিধা হবে। কোনো খেলোয়াড়কে যদি আগে দলভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়ে থাকে, কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়, তবে তাঁরাও এই সুবিধার আওতায় আসবেন।
খেলোয়াড়েরা তাঁদের কলেজ জীবনে খেলার সুযোগ পাবেন।
আদালতে পেশ করা নথিতে দেখা যায়, খেলোয়াড়দের এই সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি, তাঁদের অন্য কোনো কলেজে খেলার সুযোগও দেওয়া হবে।
তবে খেলোয়াড়েরা দলে ফিরতে পারবেন কিনা, সেই বিষয়ে নিশ্চয়তা নেই। দলগুলো তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খেলোয়াড় বাছাই করতে পারবে।
এই বিষয়ে এখনো কিছু বিতর্ক রয়েছে। অনেক পক্ষ মনে করছেন, এই পরিবর্তনে খেলোয়াড়দের অধিকার পুরোপুরি সুরক্ষিত হবে না।
তাঁরা এখনো দলগত সীমাবদ্ধতা নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে, এই পরিবর্তন যথেষ্ট নয় এবং খেলোয়াড়দের জন্য আরও বেশি সুরক্ষা প্রয়োজন।
এই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিচারক খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। যেহেতু এই সিদ্ধান্ত ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা, তাই এনসিএএ-কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
কারণ, খুব শীঘ্রই ফুটবল খেলার মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস