মিস মেইন ইউএসএ (Miss Maine USA) সুন্দরী প্রতিযোগিতা: নিয়মাবলী ও অন্যান্য বিষয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘মিস মেইন ইউএসএ’ সুন্দরী প্রতিযোগিতা। প্রতি বছরের মতো এবারও এই প্রতিযোগিতা নিয়ে সবার মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

এবারের প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য কিছু নাম রয়েছে, যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রথমবারের মতো অংশ নেওয়া রূপান্তরকামী প্রতিযোগী ইসাবেল সেন্ট সির এবং আমেরিকান ফুটবল কোচ বিল বিলিচিকের বান্ধবী জর্ডন হাডসন।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী :

মিস মেইন ইউএসএ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলো প্রতিযোগীদের মেনে চলতে হয়।

নিচে সেই নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো:

১. বয়স :

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রতিযোগীকে অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে।

২. নাগরিকত্ব :

প্রতিযোগীকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে।

৩. নারী হিসেবে স্বীকৃতি :

প্রতিযোগীকে জন্মগতভাবে নারী হতে হবে এবং আইনগতভাবেও তাকে নারী হিসেবে স্বীকৃতি থাকতে হবে।

৪. মেইনের বাসিন্দা :

প্রতিযোগীকে মেইন অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে অথবা সেখানকার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে।

৫. প্রতিযোগিতার ধাপ :

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেক প্রতিযোগীকে তিনটি ধাপে অংশ নিতে হয়। এই ধাপগুলো হলো— সাঁতারের পোশাক পরিধানের পর্ব, вечерের পোশাকের পর্ব এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব।

৬. পোশাক নির্বাচন :

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রতিযোগীকে নিজের পছন্দের вечерের পোশাক নির্বাচন করতে হয়।

৭. পূর্ব অভিজ্ঞতা :

এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য পূর্বে কোনো অভিজ্ঞতা থাকার প্রয়োজন নেই।

৮. প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ নেই :

অন্যান্য কিছু সুন্দরী প্রতিযোগিতার মতো এখানে প্রতিযোগীদের কোনো প্রকার প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ থাকে না।

প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি :

এবারের প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ এসেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইসাবেল সেন্ট সির।

তিনি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রথম রূপান্তরকামী নারী।

এছাড়া, বিল বিলিচিকের বান্ধবী জর্ডন হাডসনও এবার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।

জর্ডন মেইনের বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি মৎস্য শিল্পের সঙ্গে জড়িত।

প্রতিযোগিতার গুরুত্ব :

মিস মেইন ইউএসএ’র মতো প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তরুণীরা সমাজে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

এই ধরনের প্রতিযোগিতা নারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।

তথ্য সূত্র: পিপল