কাপ্তাই প্রতিনিধি।
ক্লোন ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের জন্য ঔষুধ আনা হলনা প্রিয় ছেলে রাসেলের। হাসপাতালে ভর্তি মায়ের ঔষধ আনার আগেই রাসেল ওরফে সাদ্দাম কাপ্তাই থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাসেলের মা রহিমা বেগম পরপারে চলে যায়। মায়ের শেষ দেখাটাও দেখা হলোনা সাদ্দামের। ঘটনাটি ঘটেছে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায়।
রাসেল ওরফে সাদ্দাম কাপ্তাই ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র নেতা ছিলেন। গত ৫ই আগষ্ট এর পূর্বে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় কাপ্তাই থানা পুলিশ তাকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। যার ফলে বর্তমানে সে ওই মামলায় রাঙ্গামাটি কারাগারে রয়েছে।
এদিকে সাদ্দামের পিতা মো. তাজুল ইসলাম ও বড় বোনের সাথে কথা হলে তারা জানান সাদ্দাম সম্পূর্ণ নির্দোষ। সে ছাত্রলীগ করতো কিন্তু কখনো কোন হামলায় জড়িত ছিলোনা। পুলিশ অজ্ঞাত আসামীর তালিকায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু ছেলে কারাগারে গিয়েছে এই খবর শুনে ক্লোন ক্যান্সারে আক্রান্ত মা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এবং গত কয়েকদিন যাবৎ মায়ের রক্ত বমি হয়। ছেলেকে মায়ের কাছের নিয়ে আসবেন বলে কথাও দিয়েছিলেন পিতা তাজুল ইসলাম। কিন্তু ছেলেকে আর আনতে পারলোনা এর আগেই মা পরপারে চলে গেলেন। এদিকে রোববার দুপুরে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সাদ্দামের বড় বোন জানান গত শুক্রবার মা অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে থাকাকালীন কাপ্তাই বড়ইছড়ি সদরে ঔষুধ আনতে গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে ছোট ভাই সাদ্দামক গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে কাপ্তাই থানা হতে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মা অনেক অসুস্থ তাই কাপ্তাই থানায় ভাইকে ছাড়াতে আকুতি মিনতি করি। সকলে আশ্বাস দিয়েছে আমার ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ভাই ছাড়ার পাওয়ার আগেই মা চলে গেলো। এদিকে ভাই মো. সাদ্দাম কারাগারে থাকায় মাকে শেষ দেখাও দেখতে পারেনি বলে কান্না বিজড়িত কন্ঠে ভেঙ্গে পড়েন বড় বোন।
কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো মাসুদ(ওসি)জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে কাপ্তাইয়ে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সে বর্তমানে রাঙ্গামাটি কারাগারে রয়েছে।