টম ক্রুজের বোন ক্যাস-এর কারণেই ‘রেইন ম্যান’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। সম্প্রতি ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে (BFI) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজেই এই কথা জানান। BFI ফেলোশিপ পাওয়ার আগে, ৬২ বছর বয়সী ক্রুজ ১৯৮৮ সালের এই ছবিটির প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেন।

ঘটনার সূত্রপাত ১৯৮৪ সালে, যখন টম ক্রুজ নিউ ইয়র্কে তাঁর বোন ক্যাস-এর সঙ্গে দেখা করতে যান। সে সময় ডাস্টিন হফম্যান ব্রডওয়েতে ‘ডেথ অফ আ সেলসম্যান’ নাটকে অভিনয় করছিলেন। একদিন একটি রেস্টুরেন্টে হফম্যানকে দেখতে পান ক্রুজ।

ক্রুজ জানান, “আমি যখন হফম্যানকে দেখি, তখন তিনি তাঁর টুপি পরে টেক আউট অর্ডারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আমার বোন আমাকে এগিয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে জোরাজুরি করতে থাকে। সে সাধারণত এমনটা করে না। আমিও সহজে অপরিচিত কারও সঙ্গে কথা বলতে যাই না। কিন্তু সে এতটাই জেদ ধরেছিল যে, শেষ পর্যন্ত রাজি হতে হলো।”

ক্রুজ আরও বলেন, “আমি গিয়ে বললাম, ‘মি. হফম্যান, আমি দুঃখিত।’ তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ক্রুজ!’”

এই কথোপকথনের পরে হফম্যান, ক্রুজ এবং তাঁর বোনকে ‘ডেথ অফ আ সেলসম্যান’ নাটকটি দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানান। ক্রুজ জানান, ১৯৮৩ সালে তাঁর ছবি ‘রিস্কি বিজনেস’-এর ওপর হফম্যানের ১৯৬৭ সালের ছবি ‘দ্য গ্র্যাজুয়েট’-এর গভীর প্রভাব ছিল। হফম্যান সেই সময়ে তাঁর সঙ্গে খুবই আন্তরিক ছিলেন।

ক্রুজ আরও যোগ করেন, “আমরা যখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম, তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমি তোমার সঙ্গে একটি সিনেমা করতে চাই।’ আমি তখন খুবই বিনয়ীভাবে উত্তর দিয়েছিলাম।” এর এক বছর পর, হফম্যান তাঁকে ‘রেইন ম্যান’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন।

‘রেইন ম্যান’-এ ক্রুজ ও হফম্যানের সঙ্গে পরিচালক ব্যারি লেভিনসন কাজ করেছিলেন। ছবিতে দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন তাঁরা, যাঁরা তাঁদের বাবার মৃত্যুর পর মিলিত হন। এই ছবিতে অটিজম আক্রান্ত এক ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করে ডাস্টিন হফম্যান সেরা অভিনেতার অস্কার জেতেন।

সম্প্রতি ‘সাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রুজ জানান, হফম্যান তাঁকে ১৯৭৯ সালের ছবি ‘ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার’-এর শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কেও বলেছিলেন। হফম্যানের দ্বিতীয় অস্কার এসেছিল এই ছবির জন্য।

বর্তমানে টম ক্রুজ তাঁর আসন্ন ছবি ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং’ নিয়ে ব্যস্ত। ১৪ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির প্রিমিয়ার হবে এবং ২৩ মে বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

তথ্য সূত্র: পিপল