মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন মেমোরিয়াল ডে-তে (Memorial Day) পেট্রোলের দাম কমে আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই সময়টাতে সাধারণত দেশটির মানুষজন ছুটি কাটানোর জন্য বাইরে ভ্রমণ করে থাকে। জ্বালানির দাম কমার কারণে ভ্রমণকারীদের কিছুটা স্বস্তি মিলবে।
গ্যাস বা পেট্রোলের গড় দাম প্রতি গ্যালনে ৩.০৮ মার্কিন ডলার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ২০২১ সালের পর সর্বনিম্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলের দাম কমার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সৌদি আরব ও ওপেক (OPEC)-এর তেল উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এর ফলে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ বেড়েছে।
তাছাড়া, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে উদ্বেগের কারণেও তেলের চাহিদা কিছুটা কমেছে, যা দাম কমার আরেকটি কারণ।
তবে, তেলের দাম কমলেও, সেই তুলনায় গ্যাসের দাম সেভাবে কমেনি। এর কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে শোধনাগার বন্ধ হয়ে যাওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে।
কারণ, বৈদ্যুতিক গাড়ির (electric vehicles) জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় গ্যাসের চাহিদাও কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনা বাংলাদেশের জন্য সরাসরি তাৎপর্যপূর্ণ না হলেও, বিশ্ববাজারে তেলের দামের ওঠা-নামা আমাদের দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়লে, বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়ে, বিশেষ করে পরিবহন খরচ এবং নিত্যপ্র প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আসে এবং এর ফলস্বরূপ বাংলাদেশের বাজারে তেলের দামের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে কিনা, সেদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের এই হ্রাস-বৃদ্ধি বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে, যা আমাদের সবার জন্য জানা দরকার।
তথ্য সূত্র: সিএনএন