স্কারলেট জোহানসন পরিচালিত ছবি ‘ইলোনর দ্য গ্রেট’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে। ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রবীণ অভিনেত্রী জুন স্কুইব।
ছবিটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিদের হাতে নিহত হওয়া ইহুদিদের (Holocaust) ওপর নির্মিত একটি গল্প তুলে ধরা হয়েছে। গল্পটি নিয়ে সমালোচকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
ছবিটির প্রধান চরিত্র হলো ইলোনর মর্গেনস্টাইন, যিনি একজন ইহুদি নারী। তিনি ফ্লোরিডায় বসবাস করেন এবং তার ভালো বন্ধু বেসির মৃত্যুর পর নিউ ইয়র্কে মেয়ের কাছে চলে আসেন।
বেসি ছিলেন একজন হলোকাস্ট survivor, কিন্তু তার মৃত্যুর পর ইলোনর সেই পরিচয় ধারণ করেন।
ইলোনর একটি ইহুদি সিনিয়র সিটিজেনদের দলে যোগ দেন, যেখানে মূলত হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা মানুষেরা একত্রিত হন। সেখানে তিনি বেসির স্মৃতিচারণ করে নিজেকেও একজন survivor হিসেবে পরিচয় দেন।
ছবিতে নিনা নামের একজন তরুণী সাংবাদিকের চরিত্র রয়েছে, যিনি ইলোনরের সঙ্গে পরিচিত হন এবং তার জীবনের গল্প শুনে মুগ্ধ হন। নিনা ইলোনরের জীবনের ওপর একটি নিবন্ধ লেখার পরিকল্পনা করেন।
কিন্তু ইলোনরের এই মিথ্যা পরিচয় উন্মোচিত হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়।
ছবিতে দেখানো হয়েছে, কিভাবে একজন মানুষ সঙ্গ পাওয়ার জন্য মিথ্যা আশ্রয় নেয়। ইলোনরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুন স্কুইব, যিনি তার অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন।
তবে, ছবিটির বিষয়বস্তু এবং উপস্থাপনা নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছেন। সমালোচকদের মতে, হলোকাস্টের মতো একটি গভীর এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ছবিতে হালকাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ছবির গল্প বলার ধরন এবং কিছু চরিত্রের আচরণ দর্শকদের হতাশ করেছে। এছাড়া, বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মাকে কিভাবে দেখাশোনা করা যায়, সেই বিষয়টিও ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র সমালোচক এবং দর্শকদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। কারো কারো মতে, ছবির গল্প বলার ধরন দুর্বল এবং কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টিকে হালকাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আবার অনেকে মনে করেন, ছবিটির প্রধান চরিত্র এবং তার অভিনয় দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে।
সব মিলিয়ে, ‘ইলোনর দ্য গ্রেট’ ছবিটি একদিকে যেমন দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রাখে, তেমনি এর বিষয়বস্তু এবং উপস্থাপনার দুর্বলতার কারণে সমালোচনার শিকার হচ্ছে।
ছবিটি বর্তমানে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান