বাল্টিমোরের এক দমকলকর্মী, যিনি দীর্ঘদিন ধরে অগ্নিনির্বাপণের কাজে যুক্ত, তাঁর শরীরে চতুর্থ স্তরের খাদ্যনালীর ক্যান্সার ধরা পড়েছে। এই কঠিন সময়ে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
৫৬ বছর বয়সী স্টিভ ডরসি, যিনি ২১ বছর ধরে বাল্টিমোর সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্টে (বিসিএফডি) কাজ করছেন, জানিয়েছেন তাঁর ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার আগের কিছু লক্ষণের কথা।
ডরসি জানান, প্রথমে তাঁর খাবার গিলতে সমস্যা হতো। “ব্যাপারটা প্রথমে তেমন গুরুতর ছিল না,” তিনি বলেন।
কখনও কখনও খাবার গলাধঃকরণ করতে তরল কিছু পান করতে হতো।” কিন্তু ধীরে ধীরে এই সমস্যা বাড়তে থাকে।
খাবার খাওয়ার পরেই তা বমি হয়ে যেত। পরীক্ষার পরে তাঁর খাদ্যনালীতে, লিম্ফ নোডে এবং লিভারে টিউমার ধরা পড়ে।
ডরসির ক্যান্সার ধরা পরেছে এই বছরের ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে। বর্তমানে তিনি কেমোথেরাপি নিচ্ছেন এবং চিকিৎসার জন্য ছুটিতে রয়েছেন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর চিকিৎসা জুন মাস পর্যন্ত চলবে। ডরসি জানান, তিনি খুব দ্রুতই চিকিৎসা শেষে অবসর গ্রহণ করবেন।
চিকিৎসার পাশাপাশি, ডরসি চাইছেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা অন্যদের জানাতে। তিনি মনে করেন, অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের মধ্যে খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অকুপেশনাল হেলথ অ্যান্ড সেফটি (NIOSH)-এর গবেষণা অনুযায়ী, দমকলকর্মীদের খাদ্যনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৬২ শতাংশ বেশি এবং এই রোগে তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৩৯ শতাংশ বেশি।
ডরসি তাঁর সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বিসিএফডি-র ‘ইঞ্জিন ৫৭’ টিমের সদস্যরা তাঁর চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।
একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও (GoFundMe) অনুদান সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে ইতোমধ্যে ৯,৭০০ ডলারের বেশি অর্থ জমা হয়েছে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১ লক্ষ টাকার সমান।
ডরসি জানিয়েছেন, ক্যান্সারের খবর পাওয়ার পর তিনি প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। “আমি বিশ্বাস করতে পারিনি, এরপর রাগ হত, কিন্তু ধীরে ধীরে আমি এটা মেনে নিতে শিখেছি,” তিনি বলেন।
তিনি বাল্টিমোর শহরের অন্যান্য দমকলকর্মীদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ওপর জোর দিতে বলেছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল