1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
July 17, 2025 10:25 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি কালুকে ৫ টি টিকিটসহ গ্রেফতার করেন, রেলওয়ে থানা পুলিশ এনসিপি নেতৃবৃন্দের উপর হামলার প্রতিবাদে মাদারীপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ কাপ্তাই প্রজেক্ট  শহীদ আলমগীর এর ৩৮তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন  কাপ্তাইয়ে ২৪এর রঙে  গ্রাফিতি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা  পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই যোদ্ধারা শোনালেন জুলাইয়ের দুঃসহ স্মৃতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাজেট কাটছাঁট: সিনেটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত! লামিন ইয়ামালের জন্মদিনের পার্টি: বিতর্ক! বামনদের নিয়ে মন্তব্যে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া ইরাকের কুতে বহুতল ভবনে আগুন, নিহত বহু! যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক অধিকারের সঙ্কট: জরুরি অবস্থা ঘোষণা! গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে মাদারীপুরে এনসিপির সমাবেশ স্থগিত

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন: ঘুরে দাঁড়াতে ইইউ সদস্যপদ, রাশিয়ার অর্থ চাই!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Friday, May 23, 2025,

ইউক্রেনের পুনর্গঠন: ইইউ সদস্যপদ ও রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রয়োজনীয়তা।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বর্তমানে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে আসার চেষ্টা করছে, কিন্তু দেশটির অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ দ্রুত নিশ্চিত করা এবং কয়েকশ বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক সহায়তা প্রদান করা অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইউক্রেনের একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে ইইউ-এর সদস্যপদ জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেনের বিশাল অবকাঠামো পুনর্গঠনের জন্য বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন। কিয়েভ স্কুল অফ ইকোনমিকস (KSE)-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত রাশিয়ার হামলায় দেশটির প্রায় ১৭০ বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আবাসন, পরিবহন এবং জ্বালানি খাত।

শুধু তাই নয়, ২০১৪ সাল থেকে পূর্বাঞ্চলে (লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক) চলা যুদ্ধের কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেই হিসাবও এর অন্তর্ভুক্ত নয়। এছাড়া, ইউক্রেনের জিডিপি’র ২৯ শতাংশ হ্রাস এবং দেশটির প্রায় এক পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড হারানোটাও বিশাল ক্ষতির কারণ। এই ভূখণ্ডে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের প্রায় অর্ধেক বিদ্যমান, যার মূল্য প্রায় ১২.৪ ট্রিলিয়ন ডলার।

বিশ্ব ব্যাংক অবকাঠামো ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা বেশি উল্লেখ করেছে, যার পরিমাণ ১৭৬ বিলিয়ন ডলার। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশটির পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের জন্য আগামী ১০ বছরে প্রায় ৫২৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।

অর্থনৈতিক যুদ্ধকে ২০১৪ সাল থেকেই রাশিয়ার কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেছেন আন্তর্জাতিক কৌশলগত গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঝুঁকি বিশ্লেষক ও ইউরেশিয়া বিশেষজ্ঞ ম্যাক্সিমিলিয়ান হেস। তিনি বলেন, রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চল থেকে মূল্যবান খনিজ সম্পদ, শস্য এবং লোহা লুট করেছে। KSE-এর হিসাব অনুযায়ী, রাশিয়া প্রায় পাঁচ লাখ টন শস্য চুরি করেছে, যা কৃষি খাতের ১.৯ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির কারণ।

রাশিয়ার সামরিক বাহিনী শিল্প কেন্দ্রগুলোতেও হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে খারকিভ ট্রাক্টর প্ল্যান্ট, জাপোরিঝিয়া অটোমোবাইল প্ল্যান্ট এবং ডিনিপ্রোর Pivdenmash রকেট প্রস্তুতকারক ফ্যাক্টরি অন্যতম। এসব হামলায় ইউক্রেনের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যুদ্ধকালীন সময়ে ইউক্রেনীয় অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য কিছু ইতিবাচক দিকও দেখা যাচ্ছে। দেশটির সামরিক সহায়তায় প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রতিরক্ষা শিল্প ভিত্তি তৈরি হয়েছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খনিজ সম্পদ উত্তোলন করে দ্রুত ইউক্রেনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। কারণ, এই ধরনের প্রকল্পে দীর্ঘ সময় লাগে – প্রায় পাঁচ থেকে দশ বছর।

ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইউক্রেন তাদের ধাতব শিল্প থেকে অর্জিত অর্থের অর্ধেক পুনরুদ্ধার তহবিলে জমা করতে রাজি হয়েছে।

অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি ইউক্রেনের জন্য আর্থিক সহায়তারও প্রয়োজন। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দেশটির একটি যুদ্ধ ঝুঁকি বীমা চুক্তি হয়েছে, যার ফলে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে এবং শস্য রপ্তানি স্বাভাবিক হয়েছে। এর ফলস্বরূপ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশটি প্রায় ৫৭.৫ মিলিয়ন টন কৃষি পণ্য রপ্তানি করেছে এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭৭ মিলিয়ন টন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সাহায্য করা যেতে পারে। ইইউ-তে থাকা রাশিয়ার প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টি বর্তমানে সমর্থন লাভ করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পদক্ষেপ ইউক্রেনের পুনর্গঠনে সহায়ক হতে পারে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপকে বারবার এই অর্থ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ও পুনর্গঠনের কাজে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশন ইউক্রেনের জন্য ৯.৩ বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, যা বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য সহায়ক হবে। ইউরোপীয় পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংক এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক ইউক্রেনীয় ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিচ্ছে, যা দেশটির অর্থনীতিকে সহায়তা করবে।

কিয়েভ স্কুল অফ ইকোনমিকস (KSE)-এর অনলাইন পোর্টাল বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তার তথ্য সরবরাহ করে। এই পর্যন্ত, এটি ২৬ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আনতে সহায়তা করেছে। তবে, ইউক্রেনীয় অর্থনীতিকে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে এটি যথেষ্ট নয়।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, ইউক্রেনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য ইইউ-এর সদস্যপদ, আর্থিক সহায়তা, বীমা এবং রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT