কাপ্তাই প্রতিনিধি।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য অঞ্চল কাপ্তাইয়ে হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে সুস্বাদু ফরমালিন মুক্ত বল সুন্দররী বরই। প্রতিদিন হাট-বাজারে মিলছে এই বরই। দামও হাতের নাগালে। বরইটি দেখতে অতি সুন্দর এবং বলের মত গোল বলে এর নাম বল সুন্দরী নামকরণ করা হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভাল হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস ও অন্যান্য ফলনের পাশাপাশি কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয় চাষীরা।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ এবং রোগবালাই কম হওয়ায় কুল চাষ দিন দিন বাড়ছে। অনেক চাষী মৌসুমি চাষাবাদের পরিবর্তে স্থায়ীভাবে নিজের জমিতে কুল চাষ করছেন।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, পার্বত্য চট্টগ্রামে বাউ কুল, আপেল কুল, নারকেল কুল, বল সুন্দরী এবং কাশ্মীরী কুল আবাদ হচ্ছে। তবে খেতে টক হওয়ায় দেশী জাতের কুলের চাহিদা কম। এক্ষেত্রে মিষ্টি জাতের কুলের চাহিদা রয়েছে সর্বত্র।
ইতিমধ্যে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকায় চাষকৃত এই বড়ই বা কুল বিক্রয় করতে আসতে চাষীরা। তবে হাট বাজারে বল সুন্দরী জাতের কুলের দেখা মিলছে বেশি। প্রতি কেজি ১৩০/১৫০ টাকা বিক্রয় করছে বল সুন্দরী।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে কুলের চাষ হয়। তৎমধ্যে বল সুন্দরী জাতের বড়ইয়ের চাষ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। হেক্টর প্রতি ২০ টনে সর্বমোট ৩শ’ টন কুলের চাষ হচ্ছে কাপ্তাইয়ে।
কাপ্তাইয়ের কুল চাষী সমিরণ তঞ্চঙ্গ্যা, স্বপ্না মারমা ও এনামুল হক বাচ্চু জানান পাহাড়ের এসব কুল খেতে বেশ সুস্বাদু হওয়ার সারাদেশে এই কুলের কদর রয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বেশিভাগ বাগানের কুল পরিপক্ক হয়েছে। যার ফলে বর্তমানে স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই কুল বিক্রয় হচ্ছে। এবং প্রান্তিক চাষীরাও বেশ লাভবান হচ্ছেন।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইমরান আহমেদ জানান, সাধারনত রবি মৌসুম অর্থাৎ শীতকালে এই কুল চাষের ফলন হয়ে থাকে। কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ী অঞ্চলে এই কুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়ে থাকে। এবং উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্থানীয় কুলচাষীদের বিভিন্ন সহযোগীতা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিবছরের ন্যয় এবারও কাপ্তাইয়ের কুল চাষীরা লাভবান হয়েছে।