প্রখ্যাত অভিনেতা অ্যালান অ্যালডার একটি স্মরণীয় ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন, যা ১৯৮১ সালের চলচ্চিত্র ‘দ্য ফোর সিজনস’-এর শুটিংয়ের সময় ঘটেছিল। সেই ছবিতে তাঁর সহশিল্পী ছিলেন ক্যারল বার্নেট।
সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, শুটিংয়ের ফাঁকে তাঁরা দু’জনে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন।
অ্যালডা জানান, টেবিলে ‘মু শু’ নামের একটি বিশেষ পদের খাবার ছিল, যেখানে সবজিগুলো প্যানকেকের মধ্যে মোড়ানো ছিল। খাবার পরিবেশনের এক পর্যায়ে ক্যারল বার্নেট উঠে দাঁড়িয়ে প্যানকেকটি হাতে ধরে সেটি পুরোটা খুলে ফেলেন এবং বলেন, “এটা রাজার কাছ থেকে পাওয়া একটি বার্তা!”
এই সিনেমার শুটিং শুরুর আগে, পরিচালক অ্যালডা, বার্নেট এবং অন্যান্য কলাকুশলীদের সঙ্গে তিন সপ্তাহ ধরে মহড়া করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি জানান, সেই সময়ে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে গল্প করতেন, একসঙ্গে খেতেন এবং হাসাহাসি করতেন।
এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সিনেমার পর্দায়ও ফুটে উঠেছিল, যা গল্পটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছিল।
বর্তমানে, টিনা ফে পরিচালিত ‘দ্য ফোর সিজনস’-এর নতুন নেটফ্লিক্স সিরিজে অ্যালডা একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “টিনার জন্য আমি খুব খুশি। সিনেমাটি আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং মানুষজন তাঁর কাজকে একইভাবে গ্রহণ করছে যেমনটা আমার কাজের ক্ষেত্রে করেছিল।”
আসল সিনেমাটিতে অ্যালডা জ্যাক বারোজ নামের একজন কর্তৃত্বপরায়ণ আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। নতুন সিরিজে উইল ফোর্ট তাঁর চরিত্রটির একটি নতুন সংস্করণ করেছেন। যেখানে অ্যালডাকে দেখা যায় চরিত্রটির বাবার ভূমিকায়।
নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কথা বলেছেন অ্যালডা। দীর্ঘ ৬৮ বছর ধরে তিনি আরলেন অ্যালডার সঙ্গে বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করছেন। তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী সবসময় বলেন, ‘বিয়ে টিকিয়ে রাখার চাবিকাঠি হল, কম মনে রাখা।’
আমরা দু’জনেই চেষ্টা করি, যখন যেখানে থাকি, সেখানে মন দিয়ে সময় কাটানোর, শোনার, উত্তর দেওয়ার এবং আগ্রহ দেখানোর। মানুষ হিসেবে একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়।
আমার মনে হয়, যদি পোপ এবং মাদার তেরেসার মতো মানুষও বিবাহিত হতেন, তাহলে কয়েক বছর পর তাঁদেরও হয়তো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হতো।”
‘দ্য ফোর সিজনস’ বর্তমানে নেটফ্লিক্সে দেখা যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: পিপল