স্টাফ রিপোর্টার।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেছেন, আক্রমনের শিকার সাংবাদিকের বিপদকালে কেউ অট্টহাসি না হেসে অন্তত সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি তুলুন।
আপনি যদি পেশায় সঠিক দায়িত্ব পালন করেন তবে আপনিও যেকোনো সময় এমন হামলার শিকার হতে পারেন। সহকর্মীদের বিপদকালে সাংবাদিকদেরকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে রাষ্ট্রের প্রতি আহবান জানানো হয়।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ছোট কোরবানপুর গ্রামের কুখ্যাত মাদক কারবারি রাসেল গংদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হন দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম রাসেলের বাড়িতে এসে তার ওপর হামলার নেপথ্য কারণ, শারীরিক অবস্থা এবং মামলার অগ্রগতি জানেন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, যে বা যারা একজন সাংবাদিকের বিপদকালে এমন অট্টহাসি হেসে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেন তাদেরকে আমরা সাংবাদিক বলতে পারিনা; তারা রাক্ষুসে সাংবাদিক।
মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী দুপুরে মাজহারুল ইসলাম রাসেলের সোঁনারগাওয়ের মোগড়াপাড়া বাসায় গিয়ে তার শারীরিক অবস্থা এবং মামলার অগ্রগতি জানেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার না করায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এতদিন গড়িয়ে গেল আসামি কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? আসামি মাদক কারবারিরা কারো আত্মীয় নাকি যে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না! অবিলম্বে সাংবাদিক রাসেলের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করুন; নয়তো আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, কেন্দ্রীয় নেতা জি কে রাসেল, সোনারগাঁও বিএমএসএফের ফারুকুল ইসলাম, শামসুল আলম তুহিন, রাকিব রেজা, পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মো: হুসাইন সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য রাষ্ট্রের নিকট জোর দাবি তোলেন।
এদিকে আহত রাসেল জানায়, তার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া একমাত্র কন্যার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে ;ভয়ে স্কুলে যেতে পারছেনা।
তিন সদস্যের সংসারটি এখন অনেকটা ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। নিরাপত্তার অভাবে তারা বাড়িঘর বিক্রি করে ঢাকায় চলে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দৃষ্টান্তমূলক বিচারের পাশাপাশি পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাসায় ফেরার পথে বাসার সামনে প্রকাশ্যে আক্রমের শিকার হন রাসেল। এ সময় ৮-১০ জন সন্ত্রাসীরা তাকে পথরোধ করে হকিষ্টিক এবং চাইনিজ কুড়াল দিয়ে পিটিয়ে-কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় কেউ টুঁশব্দ করার সাহস পায়নি। এক মাস ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়ে গত সপ্তাহে বাসায় ফেরেন।