ডিজনির জনপ্রিয় এনিমেটেড চলচ্চিত্র ‘লিলো ও স্টিচ’ এবার আসছে লাইভ-অ্যাকশন রূপে। ২০০২ সালের এই ছবিতে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছিল, আর এবার নতুন রূপে সেই কাজটি আরও ভালোভাবে করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ছবির কলাকুশলীরা বলছেন, হাওয়াই দ্বীপের সংস্কৃতিকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করাটা তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ছবিতে নানি চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন টিয়া কারেরে, যিনি মূল অ্যানিমেটেড ছবিতেও এই চরিত্রে ছিলেন। তিনি জানান, হাওয়াই দ্বীপের মানুষের জীবনযাত্রা, তাদের সংস্কৃতি, পোশাক-পরিচ্ছদ—সবকিছু পর্দায় ফুটিয়ে তোলা জরুরি।
“সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত না হলে, অনেক কিছুই পর্দায় সঠিক লাগবে না,” তিনি বলেন। পরিচালক ডিন ফ্লিশার ক্যাম্প এবং ছবির সহ-নির্মাতা ক্রিস স্যান্ডার্সও চেয়েছিলেন, এই ছবিতে যেন হাওয়াই দ্বীপের সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
টিয়া কারেরের মতে, স্থানীয় মানুষেরা পর্দায় তাদের সংস্কৃতিকে দেখলে খুশি হবেন।
নতুন ‘লিলো ও স্টিচ’ ছবিতে অভিনয় করেছেন মাইয়া কিয়ালোহা, যিনি লিলো চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়া সিডনি অ্যাগুডং নানি এবং কাইপো ডুডইট ডেভিডের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
হাওয়াই দ্বীপের অভিনেতা জেসন স্কট লি মূল ছবিতে ডেভিডের চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছিলেন, এবার তিনি লুয়াউ ম্যানেজারের ভূমিকায় ফিরেছেন।
উল্লেখ্য, লুয়াউ হলো হাওয়াই দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী এক ধরনের উৎসব, যেখানে বিশেষ খাবার ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকে।
ছবিটির শুটিং হয়েছে ওহু দ্বীপে, যদিও এর গল্প কাউয়াই দ্বীপের প্রেক্ষাপটে তৈরি।
ছবিতে হাওয়াই দ্বীপের স্থানীয় শিল্পী ও কলাকুশলীদের অংশগ্রহণ রয়েছে, যা ছবিটিকে আরও জীবন্ত করে তুলবে।
ছবিতে হাওয়াই দ্বীপের স্থানীয় ভাষা ও সঙ্গীতের ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশেষ করে, কুইন লিলিউওকালানির বিখ্যাত গান ‘আলোহা’ শোনা যাবে মাইয়া কিয়ালোহা এবং সিডনি অ্যাগুডং-এর কণ্ঠে।
এছাড়া, এলভিস প্রেসলির গান এবং ব্রুনো মার্সের নতুন একটি গানও থাকছে।
সিডনি অ্যাগুডং জানান, হাওয়াইয়ের গল্পগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরা খুব জরুরি।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, হাওয়াইয়ের সংস্কৃতি অত্যন্ত প্রতিভাবান। এই ছবিতে সেই প্রতিভার প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে, যা দেখে আমি খুবই আনন্দিত।”
মাইয়া কিয়ালোহা ভবিষ্যতে আরও অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।
সাংস্কৃতিক উপস্থাপনার গুরুত্ব সম্পর্কে টিয়া কারেরে বলেন, “আমি মনে করি, স্থানীয় মানুষ তাদের সংস্কৃতিকে পর্দায় দেখলে খুশি হবে।”
হাওয়াই দ্বীপের সংস্কৃতিকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার এই প্রচেষ্টা, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং জীবনযাত্রাকেও বিশ্ব দরবারে সঠিকভাবে তুলে ধরা দরকার।
কারণ, অনেক সময় দেখা যায়, বিদেশি চলচ্চিত্রে আমাদের সংস্কৃতিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়।
তাই, স্থানীয় শিল্পী ও কলাকুশলীদের অংশগ্রহণে তৈরি হওয়া চলচ্চিত্রগুলো, আমাদের সংস্কৃতিকে আরও ভালোভাবে তুলে ধরতে পারে।
এই ছবিতে অভিনয় করেছেন জ্যাক গ্যালিবিয়ানাকিস, বিলি ম্যাগনুসেন, কোর্টনি বি. ভ্যান্স এবং অ্যামি হিল-এর মতো তারকারা।
ছবিটি বর্তমানে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: People.com