শিরোনাম: মেমোরিয়াল ডে-তে বাইডেন প্রশাসনকে ‘শত্রু’ আখ্যা ট্রাম্পের, অভিবাসন নীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। সোমবার, ছুটির দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এই বার্তায় ট্রাম্প বাইডেন প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং দেশের ‘শত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এমন কিছু মানুষকে, যারা তার মতে দেশকে ধ্বংস করতে চাইছে।
ট্রাম্প তার পোস্টে লেখেন, “শুভ মেমোরিয়াল ডে, তাদেরও শুভেচ্ছা, যারা গত চার বছর ধরে বামপন্থী মানসিকতা নিয়ে আমাদের দেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে।” তিনি বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন নীতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অভিযোগ করেন যে তারা “লক্ষ লক্ষ অবৈধ অভিবাসীকে” দেশে প্রবেশ করতে দিয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকে অপরাধী এবং মানসিক ভারসাম্যহীন।
ট্রাম্পের অভিযোগ, বাইডেন প্রশাসনের দুর্বল নীতির কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তিনি এর জন্য “অযোগ্য প্রেসিডেন্ট” এবং “বিচারকদের” দায়ী করেন, যারা নাকি “খুনি, মাদক ব্যবসায়ী, ধর্ষক ও গ্যাং সদস্যদের” দেশ থেকে বিতাড়িত করতে বাধা দিচ্ছেন।
এই প্রসঙ্গে, ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে অভিবাসন সংক্রান্ত কিছু বিতর্কিত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি ২০১৭ সালে ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ‘ট্রেন দে আরাগয়া’র সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে থাকা অভিবাসীদের বিতাড়িত করার জন্য একটি আইন ব্যবহার করেছিলেন। এর ফলে, যাদের বিরুদ্ধে গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল, তাদের দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও এই বিতাড়ন প্রক্রিয়া পরে আইনি জটিলতার সম্মুখীন হয়।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রধান যুক্তি ছিল, অভিযুক্তদের নিজেদের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ, তাদের শুনানির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।
এই বিতর্কের মধ্যেই, ট্রাম্প একবার এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী সকল নাগরিক এবং বিদেশিদের জন্য একই ধরনের বিচার প্রক্রিয়া প্রয়োজন নাও হতে পারে। যদিও পরে তিনি তার বক্তব্যে কিছুটা সুর নরম করেন এবং আদালতের প্রতি তার আস্থার কথা জানান।
ট্রাম্প তার বার্তায় বিচার বিভাগের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এবং দেশের অন্যান্য ভালো ও সহানুভূতিশীল বিচারক আমাদের সেই সব ‘দানবদের’ সিদ্ধান্ত থেকে রক্ষা করবেন, যারা আমাদের দেশকে নরকে পাঠাতে চায়।”
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মন্তব্য সেই বিতর্কের আগুনে আরও ঘি যোগ করেছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস