বিয়ে নিয়ে দ্বিধা: মেয়ের জন্য প্রতিজ্ঞা ভাঙতে চাইছেন মা।
বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়। প্রতিটি মেয়ের জীবনেই আসে এই বিশেষ মুহূর্ত। আর এই বিয়েকে কেন্দ্র করে পরিবারে চলে নানা প্রস্তুতি।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে এক মা তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য সাহায্যের হাত বাড়াতে দ্বিধা বোধ করছেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যাক।
ঘটনার সূত্রপাত:
মেয়েটির বয়স যখন কুড়ি বছর, তিনি তাঁর হাই স্কুল প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন। ২০২৬ সালের গ্রীষ্মে বিয়ের পরিকল্পনা চূড়ান্ত। মেয়ের বিয়ের জন্য মা রাজিও ছিলেন, কিন্তু এখন তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত বদলাতে চাইছেন।
এর কারণ হল, মেয়ের বিয়ের জন্য তিনি যে ১০,০০০ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করতে দ্বিধা বোধ করছেন।
মায়ের দ্বিধা:
আসলে, এই দ্বিধা তৈরি হওয়ার কারণ হল মায়ের নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা। মা নিজেও অল্প বয়সে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সেই বিয়ে বেশি দিন টেকেনি।
কারণ, তিনি জানতে পারেন তাঁর স্বামী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে মা মনে করেন, তাঁর মেয়েও হয়তো বিয়ের জন্য এখনো প্রস্তুত নয়।
মেয়ের প্রতিক্রিয়া:
মা তাঁর মেয়ের সঙ্গে নিজের জীবনের এই কঠিন অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন। মেয়ের কাছে তিনি তাঁর এই দ্বিধার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ে মায়ের কথা বুঝতে নারাজ।
মায়ের মতে, মেয়ে হয়তো তাঁকে ভুল বুঝছে এবং মনে করছে, তিনি তাঁর হবু বরকে পছন্দ করেন না।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:
বিষয়টি নিয়ে যখন মা দ্বিধাগ্রস্ত, তখন তিনি এক পরামর্শকের সাহায্য চান। পরামর্শক মা-কে তাঁর প্রতিজ্ঞা রাখার কথা বলেন।
তিনি মনে করেন, মেয়ের পাশে মা-কে সবসময় থাকা উচিত। কারণ, মেয়ের ভালো-মন্দ সব পরিস্থিতিতেই মায়ের সমর্থন প্রয়োজন।
পরামর্শক আরও বলেন, হয়তো মেয়ের এই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হতে পারে, কিন্তু তাতে মেয়ের জীবনের অভিজ্ঞতা বাড়বে।
সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট:
বিয়ে নিয়ে আমাদের সমাজে নানা ধরনের ধারণা প্রচলিত আছে। অল্প বয়সে বিয়ে করা উচিত কিনা, সে বিষয়েও বিভিন্ন মত রয়েছে।
তবে, মা-বাবার পরামর্শ ও সমর্থন এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই নিবন্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের ঘটনা এবং বিশেষজ্ঞের মতামত তুলে ধরা হয়েছে।
পাঠকের নিজস্ব পরিস্থিতি এবং সাংস্কৃতিক রীতিনীতি বিবেচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তথ্য সূত্র: পিপলস