ছোটবেলার দুষ্টু ট্র্যাভিস কেলসি! মায়ের চোখে ধরা খাওয়ার গল্প
ছেলেবেলার স্মৃতি সবসময়ই মধুর হয়, বিশেষ করে যখন তা হয় মজাদার। সম্প্রতি, আমেরিকান ফুটবল তারকা ট্র্যাভিস কেলসি তাঁর এবং ভাই জেসন কেলসির জনপ্রিয় ‘নিউ হাইটস’ পডকাস্টে শোনালেন তেমনই এক মজার ঘটনা।
ঘটনাটি তাঁর মা ডোনা কেলসিকে নিয়ে, যিনি একসময় ভেবেছিলেন ছেলে বুঝি দোকান থেকে খাবার চুরি করছেন!
আসলে, ঘটনাটা ছিল এমন—স্কুলে টিফিনের জন্য ট্র্যাভিস মায়ের কাছে প্রতি সপ্তাহে ৫ ডলার চাইতেন। তাঁর বায়না ছিল, সেই টাকা দিয়ে তিনি ‘ফ্রুটোপিয়া’ নামের একটি ফলের স্বাদের সোডা কিনবেন। কিন্তু মা তো জানতেন না অন্য কথা!
ট্র্যাভিসের কথায়, “আমি স্কুলে থাকতে মায়ের কাছে গিয়ে সপ্তাহে ৫ ডলার চাইতাম, যাতে প্রতিদিন একটা ফ্রুটোপিয়া কিনতে পারি। কারণ, ফ্রুটোপিয়ার দাম ছিল ১ ডলার।” মা রাজিও হলেন। কিন্তু আসল ঘটনা ছিল অন্যরকম।
ট্র্যাভিস সেই টাকা দিয়ে ফ্রুটোপিয়া না কিনে কিনতেন ‘হানি বান’।“আমি সেই ৫ ডলার দিয়ে একগাদা হানি বান কিনতাম। সোজা কথায়, সোমবারেই ৫ ডলারের হানি বান কিনে ফেলতাম,” হাসতে হাসতে বলেন ট্র্যাভিস। এরপর যখন ট্র্যাভিস তাঁর ব্যাগভর্তি হানি বান নিয়ে বাড়ি ফিরতেন, তখন মা ডোনা কেলসি তো অবাক!
“মা ব্যাগটা দেখে বললেন, ‘এ কী! এই ব্যাগে এত কী?’ তিনি অবশ্য সেভাবে বকাবকি করেননি। বরং জানতে চাইলেন, ‘তোকে কি দোকান থেকে হানি বান চুরি করতে দেখেছি?’ উত্তরে আমি বললাম, ‘না তো মা, তুমি যে টাকা দিয়েছিলে, আমি তো সেটাই খরচ করেছি।’”
আসলে, ট্র্যাভিস প্রতিদিনের জন্য হানি বান জমিয়ে রাখতেন। “এর পরেই মা ফ্রুটোপিয়ার জন্য আর ৫ ডলার দেওয়া বন্ধ করে দিলেন। কারণ, আমি তো রীতিমতো ‘বড় ছেলে’ হয়ে উঠছিলাম,” মজা করে বলেন কেলসি।
ডোনা কেলসি এর আগে একবার বলেছিলেন, তাঁর ছেলেরা ছোটবেলায় প্রচুর খেত। তিনি জানান, “তারা হাই স্কুলে থাকতেই প্রত্যেকে একটা গোটা মুরগি সাবাড় করতে পারত—একসঙ্গে নয়, আলাদাভাবে!”
কেলসির মা আরও যোগ করেন, খেলাধুলার সঙ্গে তাল মেলাতে ছেলেদের এই খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হয়েছিল। “খেয়াল রাখতে হবে, খেলার সময় তারা প্রায় ১৪ থেকে ১৫ পাউন্ড ওজন কমায়। তাই সেই ঘাটতি দ্রুত পূরণ করতে হতো।”
ছোট্ট ট্র্যাভিসের এই মজাদার ঘটনা বুঝিয়ে দেয়, মায়ের চোখে সন্তানের সব কিছুই ধরা পড়ে। আর মিষ্টি খাওয়ার প্রতি শিশুদের দুর্বলতা তো চিরন্তন!
তথ্য সূত্র: পিপল