মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় মেডিকেল ড্রামা সিরিজ ‘দ্য পিট’-এর দ্বিতীয় সিজন আসতে চলেছে।
প্রথম সিজনের অভূতপূর্ব সাফল্যের পর নির্মাতারা এখন দ্বিতীয় সিজন নিয়ে বেশ আশাবাদী। সম্প্রতি, সিরিজের কলাকুশলীরা ক্যালিফোর্নিয়ার বারব্যাঙ্ক-এ ওয়ার্নার ব্রোস স্টুডিওতে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি এবং দর্শকদের প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলেন।
আলোচনায় সিরিজের পরিচালক আর স্কট গেমিল জানান, প্রথম সিজনের সাফল্যের পর তাঁরা ‘সোফোমোর কার্স’-এর (দ্বিতীয় সিজনের ব্যর্থতা) সম্মুখীন হতে চান না। তিনি বলেন, প্রথম সিজনে তাঁরা কাজটি যখন শুরু করেছিলেন, তখন দর্শক এত সাড়া দেবে তা ভাবেননি। কিন্তু এখন যেহেতু সবাই তাকিয়ে আছে, তাই তাঁদের ভালো কাজ করতে হবে।
সিরিজটিতে ডা. মাইকেল ‘রবি’ রবিনাবিচ চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা নোয়া ওয়ালে মনে করেন, প্রথম সিজনের সাফল্যের চাপ ভালো, তবে নতুন পর্ব তৈরির সময় এটা সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
তাঁর মতে, আগের মতোই একটি নিবিড় পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে সবাই মিলে মিশে কাজ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, প্রথম সিজনের সাফল্য ছিল শুধু চিত্রনাট্য, শিল্পী বা পরিচালকের একার কৃতিত্ব নয়, বরং সবার সম্মিলিত প্রয়াসের ফল।
সবাই একসঙ্গে ভালো কাজ করার জন্য মুখিয়ে ছিলেন এবং এর ফলস্বরূপ, প্রতিদিন কাজের মান আরও উন্নত হয়েছে। নোয়া ওয়ালে মনে করেন, এই ধরনের পরিবেশ তৈরি করা ভাগ্যের ব্যাপার, যা পরিকল্পনা করে পাওয়া যায় না। তিনি দ্বিতীয় সিজনের ক্ষেত্রেও একই রকম সাফল্যের প্রত্যাশা করেন।
‘দ্য পিট’-এর গল্প আধুনিক সময়ের একটি হাসপাতালের প্রেক্ষাপটে তৈরি। এখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের দিনরাতের কঠোর পরিশ্রম এবং রোগীদের প্রতি তাঁদের নিবেদিত প্রাণ মানসিকতা ফুটিয়ে তোলা হয়।
অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং প্রযোজকদের মতে, কোভিড পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যখাতে আসা পরিবর্তনগুলো এই সিরিজের প্রধান আকর্ষণ। তাঁরা মনে করেন, কোভিড-১৯ অতিমারীর আগে এবং পরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গল্পগুলো দর্শকদের কাছে আলাদাভাবে তুলে ধরা দরকার।
আলোচনা সভায় ক্যাথরিন লা নাসার মতো অভিনেতা এবং জন ওয়েলসের মতো প্রযোজক সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে ‘দ্য পিট’ ম্যাক্স (Max) প্ল্যাটফর্মে স্ট্রিমিং হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: পিপল