মোঃ মেহেদী হাসান, কাউখালি প্রতিনিধি।
পিরোজপুর কাউখালী উপজেলার ৩নং সদর ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটি মত বিনিময় সভা এবং ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
৫ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকাল ১০ টায় পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ব্যাবস্হাপক মৌসুমী আক্তার মৌ ও উপজেলা সমন্বয়কারী পারভীন আক্তার।
এ সময় বক্তব্যের শুরুতে ভিডিও নাটক প্রদর্শনীর মাধ্যমে, গ্রাম আদালত নিষ্পত্তির জন্য গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে কতিপয় ফৌজদারি ও দেওয়ানী বিরোধের সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত গঠিত হয় বলে বিষয়টি অবগত করা হয়। উক্ত গ্রাম আদালতে অল্প সময়ে স্বল্প খরচে সঠিক বিচার ব্যাবস্হাপনা করা হয়। জেলা প্রশাসক এর নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে,বিচারক কার্য পরিচালনায় চেয়ারম্যান ও আবেদনকারী এবং প্রতি বাদীর পক্ষ থেকে ১জন ইউপি সদস্য ও ১ জন গন্যমান্য ব্যক্তি সহ মোট ৫ জন বিচারকার্য পরিচালনা করবেন।
এ ছাড়াও ইউনিয়ন সচিবগণ বিচার কার্যক্রমে সহায়ক এবং হিসাব সহকারীগণ পেশকারের দায়িত্ব পালন করবেন। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের অভিযোগ গ্রহণ করতে পারবেন।
গ্রাম আদালত স্থানীয়ভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি সহজ ও দ্রুততম আদালত। এখানে দরিদ্র, প্রতিবন্ধী,ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোন আইনজীবী বিহীন স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে বিবাদ নিষ্পত্তির সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলা, ধর্ষণ, খুন,অপহরণ, ডাকাতি,যৌতুক,নারী ও শিশু নির্যাতন,স্থাবর সম্পত্তি ব্যতিরেকে যেকোনো সমস্যার সমাধানে অনধিক ৩ লক্ষ টাকা মূল্যমানের বিরোধ নিষ্পত্তি করার সুযোগ রয়েছে।
গ্রাম আদালতে ফৌজদারি মামলা জন্য ১০ টাকা ও দেওয়ানী মামলার জন্য ২০ টাকা ফিস প্রদানের মাধ্যমে দাখিল করা যাবে।
গত ২০২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাউখালী উপজেলায় গ্রাম আদালতে ১০২টি মামলার ৯৫ টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ৭টি মামলা চলমান রয়েছে। বর্তমানে জানুয়ারী ২০২৫ থেকে এপর্যন্ত ২৪টি মামলার মধ্যে-১৫টি নিষ্পত্তি করা হয় মর্মে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বক্তারা তাদের বক্তব্যে উপস্থাপন করেন।
অন্যান্যের মধ্যে উক্ত মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর ইউনিয়নের সকল প্রতিনিধি, সচিববৃন্দ,মানবাধিকার ও এনজিও কর্মী,শিক্ষক-ছাত্র, রাজনীতিবিদ,সাংবাদিক এবং সম্মানিত সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।