যুক্তরাষ্ট্রে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত অতিথিদের অনুপস্থিতি নিয়ে এক নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের এক নববধূ তার বিয়েতে যারা আসার কথা ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে আসেননি, তাদের কাছ থেকে খাবারের খরচ বাবদ ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন।
তিনি প্রতিটি অনুপস্থিত অতিথির জন্য প্রায় ৫,৮০০ টাকা (৫০ মার্কিন ডলার) করে আদায় করতে চাচ্ছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘রেডিট’-এ ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। রেডিটের ‘ওয়েডিং শেইমিং’ ফোরামে এক ব্যবহারকারী জানান, তিনি, তার বন্ধু এবং মা-সহ একটি দম্পতি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সম্মতি জানিয়েছিলেন।
কনে তাদের বলেছিলেন যে, কতজন অতিথি আসবেন, সেই সংখ্যাটা জানাটা জরুরি, কারণ সেই অনুযায়ী খাবার প্রস্তুত করতে হবে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই তিনজন অতিথির মধ্যে কেবল একজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, ওই ব্যবহারকারীর বন্ধু অফিসের কাজের কারণে বিয়েতে যেতে পারেননি, আর তার মা অসুস্থ ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের খরচ কেমন হয়, সেই বিষয়েও একটি ধারণা পাওয়া যায়। ‘দ্য নট’ নামের একটি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিয়ের অনুষ্ঠানে জনপ্রতি খাবারের গড় খরচ ছিল প্রায় ৯,৩০০ টাকা (৮০ মার্কিন ডলার)।
যদিও এই কনে জনপ্রতি ৫,৮০০ টাকা খরচ করেছেন, যা গড় খরচের চেয়ে কম। তবুও, দুটি খাবারের জন্য প্রায় ১১,৬০০ টাকা (১০০ মার্কিন ডলার) লোকসান হওয়ায় তিনি বেশ হতাশ হয়েছেন। এছাড়া আরো যারা আসেননি, তাদের খাবারের খরচ তো ছিলই।
এই ঘটনার সূত্র ধরে রেডিটে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। অনেকে কনের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেননি।
তাদের মতে, অতিথিদের কাছ থেকে এভাবে টাকা চাওয়াটা রুচিহীনতার পরিচয়। আবার কেউ কেউ বলছেন, যারা বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সম্মতি জানিয়েও যাননি, তাদেরও বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত ছিল। কারণ, সাধারণত বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের জন্য অগ্রিম টাকা পরিশোধ করতে হয়।
সাধারণত, বাংলাদেশে বিয়ের অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না। এখানে সাধারণত বর-কনের পক্ষের লোকজন এবং আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতে বিয়ের আয়োজন করা হয়।
খাবারের মেন্যু ও সংখ্যা আগে থেকেই ঠিক করা থাকে। তবে, অতিথি কম-বেশি হলে সেই অনুযায়ী খাবারের পরিমাণে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু অনুপস্থিত অতিথিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায় না।
তথ্য সূত্র: পিপলস