এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১২ই জুন, বৃহস্পতিবার ভারতের আহমেদাবাদে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরেছেন একজন, এবং এক ব্রিটিশ নারী অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
**যেভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়া থেকে বাঁচেন ব্রিটিশ নারী**
জানা গেছে, ২৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ নারী ভূমি চৌহান, যিনি ছুটিতে ভারতে এসেছিলেন, তিনি ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনার শিকার হওয়া থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন। বিমানবন্দরে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটিতে উঠতে পারেননি।
তীব্র যানজটের কারণে তার এই বিলম্ব হয়। বিবিসির সাথে আলাপকালে তিনি জানান, যখন তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছান, ততক্ষণে বিমানটি ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
এ সময় এয়ারলাইন্সের কর্মীরা তাকে বিমানে উঠতে দিতে রাজি হননি। তিনি টিকিট ফেরত পাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন এবং তখনই তিনি দুর্ঘটনার খবর পান।
ভূমি চৌহান বলেন, “ফ্লাইটটি মিস করার পর আমি হতাশ হয়ে পরেছিলাম। যদি আমি একটু আগে বের হতাম, তাহলে হয়তো বিমানে উঠতে পারতাম।” তিনি আরও বলেন, “আমার জন্য এটা একটা অলৌকিক ঘটনা।”
**দুর্ঘটনার বিবরণ ও হতাহতের সংখ্যা**
লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে বোয়িং ৭87-8 বিমানটি উড্ডয়ন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিমানটিতে ২৩0 জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডার নাগরিক ছিলেন।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে একজন, একজন ব্রিটিশ নাগরিক, অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরেছেন। বর্তমানে তিনি আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
**বেঁচে যাওয়া ব্যক্তির ভাষ্য**
দুর্ঘটনা থেকে ফিরে আসা ৪0 বছর বয়সী বিশ্বাশ কুমার রমেশ নামের ওই ব্যক্তি জানান, তিনি কিভাবে বেঁচে ফিরলেন, তা এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না। তিনি বলেন, “আমি চোখের সামনে অনেক মানুষকে মরতে দেখেছি।
বিমানের সেবিকারাও ছিলেন তাদের মধ্যে। আমার খুব কাছে আরও দু’জনকে আমি মরতে দেখি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে আমি হেঁটে আসি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি বেঁচে আছি। এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল, আমিও হয়তো মরে যাব। কিন্তু যখন চোখ মেলে চারপাশে তাকালাম, তখন বুঝলাম আমি জীবিত। ”
দুর্ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়া নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে তারা।
ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানের জন্য আহমেদাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি এবং গ্যাটউইক বিমানবন্দরে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস