নতুন করে তৈরি হতে যাওয়া ‘হাউ টু ট্রেইন ইউর ড্রাগন’ (How to Train Your Dragon) সিনেমার সেটে অভিনেতা জেরার্ড বাটলারের (Gerard Butler – জেরার্ড বাটলার) দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো।
সিনেমার দৃশ্যধারণের সময় তিনি এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন যে, তাঁর সহ-অভিনেতারা পর্যন্ত খানিকটা যেন ‘ভীত’ হয়ে থাকতেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সিনেমায় হিকাপের (Hiccup) চরিত্রে অভিনয় করা তরুণ অভিনেতা, ম্যাসন থেমস (Mason Thames – ম্যাসন থেমস)।
আসলে, জনপ্রিয় এই অ্যানিমেটেড সিরিজের আসন্ন লাইভ-অ্যাকশন রিমেকে (live-action remake) পুরনো চরিত্র স্টোইক দ্য ভাস্টের (Stoick the Vast – স্টোইক দ্য ভাস্ট) ভূমিকায় ফিরছেন জেরার্ড বাটলার।
ম্যাসন থেমস জানান, সেটে যখন জেরার্ড বাটলার আসতেন, তখন তাঁর ব্যক্তিত্বের গভীরতা অনুভব করা যেত। তিনি যখন স্টোইক চরিত্রে অভিনয় করতেন, তখন তাঁর কণ্ঠস্বর, শক্তি এবং বিশাল শারীরিক গড়ন এতটাই প্রভাবশালী ছিল যে, তা দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে যেতেন।
জেরার্ড বাটলার এর আগেও বেশ কিছু সিনেমায় শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
উদাহরণস্বরূপ, ‘300’ সিনেমায় স্পার্টার রাজা লিওনিডাসের (Leonidas) কথা বলা যেতে পারে। ম্যাসন আরও যোগ করেন, যখন তিনি পুরো পোশাক পরে সেটে আসতেন, বিশাল দাড়ি, বর্ম এবং অন্যান্য সাজসজ্জায় সজ্জিত হয়ে যখন তিনি আসতেন, তখন সেটের সবাই যেন তাঁকে ‘চিফ’ (chief) বলেই ডাকত।
এমনকি, অনেক সময় নাকি তিনিও একটু ‘ভীত’ হয়ে যেতেন!
নতুন এই সিনেমায় হিকাপের চরিত্রে অভিনয় করা ম্যাসন থেমস, জেরার্ড বাটলারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে দারুণ উপভোগ করেছেন। তাঁদের মধ্যেকার বাবা-ছেলের সম্পর্ক ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে পাওয়া ‘এনার্জি’ ছিল অসাধারণ।
সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ডিন ডি’ব্লোইস (Dean DeBlois – ডিন ডি’ব্লোইস), যিনি মূল অ্যানিমেটেড ত্রয়ী সিনেমাও পরিচালনা করেছেন।
‘হাউ টু ট্রেইন ইউর ড্রাগন’ (How to Train Your Dragon) মূলত লেখক ক্রেসিডা কাওয়েলের (Cressida Cowell – ক্রেসিডা কাওয়েল)-এর জনপ্রিয় বইয়ের সিরিজ অবলম্বনে নির্মিত।
এই সিরিজের প্রথম সিনেমা মুক্তি পায় ২০১০ সালে। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পায়, যা দর্শক ও সমালোচকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে।
নতুন সিনেমায় অ্যাস্ট্রিডের (Astrid) চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিকো পার্কার (Nico Parker – নিকো পার্কার)। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে নিক ফ্রস্টকে (Nick Frost – নিক ফ্রস্ট)।
সিনেমার গল্প অনুযায়ী, বার্ক দ্বীপে ভাইকিং এবং ড্রাগনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলে আসছিল। কিন্তু হিকাপ নামের এক যুবকের কারণে সেই ধারণায় পরিবর্তন আসে।
কারণ, হিকাপ ভয়ংকর ‘নাইট ফিউরি’ ড্রাগন টুথলেসকে (Toothless – টুথলেস) বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে এবং ভাইকিং সমাজের চিরাচরিত ধারণাগুলো ভেঙে দেয়।
তথ্য সূত্র: পিপল