একটি মেয়ের জীবন বাঁচাতে একজন মায়ের চরম পদক্ষেপ! সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইকো ভ্যালি’ (Echo Valley) ছবিতে এমনই এক মর্মস্পর্শী কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শককে নাড়া দিয়ে গেছে। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন জুলিয়ান মুর এবং সিডনি সুইনি।
মাদকাসক্ত মেয়ের জীবন বাঁচাতে মরিয়া এক মায়ের গল্প এটি। ছবির ক্লাইম্যাক্স এবং এর ভেতরের ঘটনাগুলো নিয়েই আজকের আলোচনা।
গল্পের শুরুটা হয় কেট গ্যারেট নামের এক নারীর জীবন দিয়ে। তিনি তার স্ত্রী প্যাটির মৃত্যুতে শোকাহত। তার মেয়ে ক্লেয়ার মাদকাসক্ত এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চেষ্টা করছে।
একদিন ক্লেয়ার তার প্রেমিক রায়ানের সাথে ঝগড়া করে মায়ের কাছে ফিরে আসে। এরপর ঘটে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। ক্লেয়ার জানায়, রায়ানের সাথে মারামারির এক পর্যায়ে সে তাকে ধাক্কা দেয়, এবং রায়ান গুরুতর আহত হয়।
ঘটনার পর, কেট তার মেয়ের কথা মতো প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন। তিনি রায়ানের মৃতদেহ গুম করার সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর ঘটনার মোড় ঘোরে, যখন জানা যায় রায়ানের আসল পরিচয়।
আসলে, ক্লেয়ারের প্রেমিক রায়ান মারা যায়নি। এই পুরো ঘটনার মূল হোতা ছিল জ্যাকি নামের এক মাদক ব্যবসায়ী। ক্লেয়ার এবং রায়ানের কাছ থেকে দশ হাজার ডলার পাওনা ছিল জ্যাকির।
সেই টাকা আদায়ের জন্য, জ্যাকি একটি ভয়ানক পরিকল্পনা করে। সে ক্লেয়ারকে রাজি করায়, যেন সে তার মায়ের কাছে এমন একটা ভান করে যে, সে রায়ানকে খুন করেছে। এর মাধ্যমে সে কেটের দুর্বলতার সুযোগ নিতে চেয়েছিল।
এরপর কেট তার খামারে আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করে, যাতে সে বীমা কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারে।
কিন্তু জ্যাকির আসল উদ্দেশ্য ছিল আরও বড়। সে চেয়েছিল, কেট যেন তার খামারের ভেতরের ঘোড়াগুলোসহ পুরো বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়।
এদিকে, তদন্তকারীরা যখন খামারে আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে আসে, তখন তারা জানতে পারে, এটি একটি পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড। তারা একটি অ্যাপার্টমেন্টে এক ব্যক্তির মৃতদেহ খুঁজে পায়।
কেট, পুলিশের কাছে জ্যাকিকে দায়ী করে এবং জানায়, মৃত ব্যক্তি জ্যাকির পরিচিত ছিল।
তবে, আসল ঘটনা ছিল ভিন্ন। কেট ও তার বন্ধু লেস মিলে রাতের অন্ধকারে হ্রদের পানিতে ফেলে দেওয়া আসল মৃতদেহটি (গ্রেগ কামিনস্কি) তুলে এনে, অ্যাপার্টমেন্টে রেখে আসে।
পরে, পুলিশের জেরায় জ্যাকিকে গ্রেফতার করা হয়, এবং কেট মুক্তি পায়।
সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার পর, ক্লেয়ার ফিরে আসে মায়ের কাছে। তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে শেষ হয় সিনেমার গল্প।
‘ইকো ভ্যালি’ মা ও মেয়ের সম্পর্কের গভীরতা, ভালোবাসার চরম রূপ এবং জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরে।
তথ্য সূত্র: পিপল