ইতালির একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে, যিনি অনলাইনে পরিচিত হয়েছিলেন, এক মডেলকে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ওই মডেল তার ছেলেকে কাছে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছিলেন, যা অভিযুক্তের মনঃকষ্টের কারণ হয়।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে ২৬ বছর বয়সী ক্যারোল মালতেসিকে হত্যার অভিযোগে ডেভিড ফন্টানা নামের ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ফন্টানা এবং মালতেসির মধ্যে পরিচয় হয় ‘অনলিফ্যানস’ নামের একটি ওয়েবসাইটে, যেখানে মালতেসি একজন মডেল হিসেবে কাজ করতেন।
ঘটনার দিন, ফন্টানা মালতেসির সঙ্গে একটি যৌন ভিডিও ধারণের পরিকল্পনা করেন।
এরপরই, তিনি মালতেসিকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন এবং পরে গলা কেটে হত্যা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর ফন্টানা মালতেসির মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেন।
এরপর, তিনি অ্যামাজন থেকে কিনে আনা একটি ফ্রিজারে প্রায় দুই মাস ধরে সেই অংশগুলো লুকিয়ে রাখেন।
পরে, তিনি উত্তর ইতালির একটি পাহাড়ি এলাকা পালিনে দি বোর্নোতে মরদেহগুলো ফেলে দেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালতেসির মৃত্যুর পর ফন্টানা তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে নিজেকে মালতেসি হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং তিনি শীঘ্রই ফিরে আসবেন বলে জানান।
তদন্তে জানা যায়, মালতেসির আসল উদ্দেশ্য ছিল তার ৬ বছর বয়সী ছেলের কাছে, মিলানের কাছাকাছি ভেনেতোতে চলে আসা।
এই বিষয়টিই ছিল ফন্টানার ক্ষোভের মূল কারণ।
২০২৩ সালের জুনে ফন্টানাকে প্রথমে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
তবে, আপিল বিভাগের শুনানির পর, হত্যার পূর্বপরিকল্পনা এবং নৃশংসতার প্রমাণ পাওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
মালতেসির ছেলেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩৯,০০০ ইউরো প্রদানের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
মালতেসির মৃত্যুর পর, তার ছেলে বন্ধুদের কাছে জানায়, মায়ের মুখটা সে যদি ভুলে যায়, তবে সেটিই তার সবচেয়ে বড় ভয়।
এই ঘটনা শিশুদের ওপর মানসিক আঘাতের গভীরতা আরও একবার প্রমাণ করে।
তথ্যসূত্র: পিপল