পুরুষের জন্মদিনের ভোজে স্ত্রীর সঙ্গে চরম বিদ্রূপ, এরপর সম্পর্কের টানাপোড়েন!
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, যেখানে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এমন একটি কান্ড ঘটিয়েছেন যা অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত এবং নিন্দনীয়।
জানা যায়, ২৮ বছর বয়সী এক নারী তাঁর স্বামীর জন্মদিনের ভোজের আয়োজন করেন। স্বামীর প্রিয় একটি রেস্টুরেন্টে, যেখানে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, স্বামীর প্রতি ভালোবাসাস্বরূপ স্ত্রী যখন একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিতে উঠেন, তখনই ঘটে বিপত্তি।
কথা বলার মাঝেই তার ৩১ বছর বয়সী স্বামী সকলের সামনে ঘোষণা করেন যে, তিনি নাকি অন্তঃসত্ত্বা! উপস্থিত সকলে, এমনকি স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরাও প্রথমে হতবাক হয়ে যান।
পরে যখন জানা যায় বিষয়টি নিছক একটি “ছেলেমানুষি”, অর্থাৎ “প্র্যাঙ্ক” ছিল, তখন পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। কারণ, ওই নারীর কিছু দিন আগেই গর্ভপাত হয়েছিল এবং তিনি বিষয়টি নিয়ে খুবই সংবেদনশীল ছিলেন।
স্বামীর এমন আচরণে চরম অপমানিত বোধ করেন স্ত্রী। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ভোজের স্থান ত্যাগ করেন এবং পরে গাড়িতে বসেই বিল পরিশোধ করে দেন।
এরপর তিনি স্বামীকে জানান যে, তিনি যেন একাই বাড়ি ফেরেন। পরবর্তীতে স্বামী যখন বাড়ি ফেরেন, তখন তিনি স্ত্রীর এই আচরণকে “হাস্যকর” এবং “অসহিষ্ণু” বলে মন্তব্য করেন।
এমনকি তাঁর পরিবারের সদস্যরাও স্ত্রীর “ঠান্ডা” প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেন। স্বামীর মতে, স্ত্রী নাকি তাঁর জন্মদিনে তাঁকে অপমান করেছেন, কিন্তু স্ত্রীর দাবি, তিনিই বরং সবার আগে অপমানিত হয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে স্বামীর এই “প্র্যাঙ্ক”-কে নিষ্ঠুর এবং অমানবিক বলে মন্তব্য করেছেন।
তাঁদের মতে, স্ত্রীর মানসিক আঘাতের কথা বিবেচনা না করে এমন আচরণ করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কয়েকজন ব্যবহারকারী পরামর্শ দিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে স্ত্রীর উচিত কাউন্সেলিংয়ের সাহায্য নেওয়া এবং সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবা।
এই ঘটনার মাধ্যমে দাম্পত্য সম্পর্কের গভীরতা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার গুরুত্ব আরও একবার স্পষ্ট হয়েছে। সামান্য একটি “ছেলেমানুষি” কিভাবে একটি সম্পর্কের ভিত নাড়িয়ে দিতে পারে, তা এই ঘটনায় প্রতীয়মান।
তথ্য সূত্র: পিপল