৮০-এর দশকের ফ্যাশন আইকন, প্যাট বেনাটার, এখনো ধরে রেখেছেন তাঁর পছন্দের কিছু পোশাক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাঁর একটি বিশেষ পোশাক আজও আলোচনার বিষয়, যা তাঁর মেয়ে প্রায়ই পরতে চায়।
প্যাট বেনাটার একাধারে একজন জনপ্রিয় শিল্পী এবং ফ্যাশন সচেতন একজন নারী। তাঁর গানের মতোই, ফ্যাশন এবং স্টাইলের ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন সবসময় অন্যদের থেকে আলাদা। ১৯৮০-এর দশকে তাঁর গানগুলো যেমন জনপ্রিয় হয়েছিল, তেমনই তাঁর পোশাক-পরিচ্ছদও ফ্যাশনপ্রেমীদের মধ্যে সাড়া ফেলেছিল।
তাঁর সেই সময়ের পোশাকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হল একটি ডোরাকাটা শার্ট, যা তাঁর প্রথম ভিডিও “ইউ বেটার রান”-এ পরেছিলেন। বেনাটার জানিয়েছেন, তাঁর ছোট মেয়ে হানা, যিনি এখন একত্রিশ বছর বয়সী, প্রায়ই সেই শার্টটি পরার জন্য বায়না করেন।
“আমরা সেটি লুকিয়ে রাখি,” হাসতে হাসতে জানান বেনাটার। “ওটা একটা ফ্রেমে বাঁধানো আছে, তাই ওকে দেওয়া সম্ভব নয়।”
শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশের শুরুর দিকে বেনাটার তাঁর স্টাইল নিয়ে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। সত্তরের দশকে একটি ওপেন মাইক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার সময় তিনি তাঁর পোশাক পরিবর্তনের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন।
প্রথমে তিনি সাধারণ পোশাকে গান গাইতেন, কিন্তু পরে তিনি যখন ছোট একটি লেওটার্ড, কালো টাইটস এবং বুট পরে মঞ্চে উঠলেন, তখন দর্শক একেবারে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। বেনাটার বলেছিলেন, “আমি সেই রাতে আগের মতোই গান গাইলাম, কিন্তু সবাই যেন পাগল হয়ে গিয়েছিল।
আমি খুব অবাক হয়েছিলাম।” এই ঘটনার পর তিনি তাঁর পোশাকের ধরনে পরিবর্তন আনেন এবং ধীরে ধীরে তাঁর নিজস্ব একটি স্টাইল তৈরি হয়।
ফ্যাশনের এই পরিবর্তনের ফলে শুধু যে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া বদলেছিল, তা নয়, বেনাটারের নিজের মধ্যেও একটা পরিবর্তন এসেছিল। তিনি বলেন, “পোশাকের কারণে আমি যেন অন্য একজন মানুষ হয়ে উঠলাম, যেটা সবসময় আমার ভেতরের একটা অংশ ছিল।
এখন সেটা বাইরে দেখা যাচ্ছিল।”
শুধু গান বা ফ্যাশন নয়, সমাজসেবার ক্ষেত্রেও প্যাট বেনাটারের অবদান অনস্বীকার্য। সম্প্রতি তিনি এবং তাঁর স্বামী, সঙ্গীত পরিচালক নীল গিরাল্ডো, হ্যারি চাপিন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন।
১৯৮২ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং একসঙ্গে গানও করেন। “লাভ ইজ আ ব্যাটলফিল্ড”, “হিট মি উইথ ইয়োর বেস্ট শট” ও “প্রমিজেস ইন দ্য ডার্ক”-এর মতো জনপ্রিয় গানের জন্য আজও তিনি সমানভাবে পরিচিত।
তথ্য সূত্র: পিপল