শিরোনাম: সমুদ্রের জলে অসহায়, মেয়ের হাত ধরে নতুন জীবন: অভিনেতা এরিক ডেনের কঠিন লড়াই
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা এরিক ডেন, যিনি ‘ইউফোরিয়া’ সহ বিভিন্ন সিনেমায় অভিনয় করেছেন, সম্প্রতি এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন যে তিনি ‘এ.এল.এস.’ (Amyotrophic Lateral Sclerosis) বা অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস (যা ‘লু গেহরিগস ডিজিজ’ নামেও পরিচিত) নামক এক স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এই রোগ মানুষের শরীরের মাংসপেশি ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়।
সম্প্রতি, ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ অনুষ্ঠানে ডিয়ানে সয়্যারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এরিক ডেন তার জীবনের এই নতুন অধ্যায় নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, কিভাবে তিনি এই রোগের সঙ্গে লড়ছেন।
সাক্ষাৎকারে এরিক ডেন একটি মর্মস্পর্শী ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, একবার তিনি তার মেয়ের সঙ্গে সমুদ্রের গভীরে গিয়েছিলেন।
সাঁতার কাটার সময় তিনি বুঝতে পারেন, আগের মতো শরীরে শক্তি নেই, এবং তিনি সাঁতরাতেও পারছেন না।
সেই মুহূর্তে তিনি জীবনের ঝুঁকি অনুভব করেন। সৌভাগ্যবশত, তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে বিলি দ্রুত তাকে উদ্ধার করে। ডেন বলেন, “আমি তখন চোখের জলে ভেঙে পড়েছিলাম।”
এই ঘটনার পরে তিনি মেয়েকে বুঝিয়ে আবার বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্রের গভীরে পাঠিয়েছেন, কিন্তু তার মন ভেঙে গিয়েছিল।
এরিক ডেনের এই রোগ নির্ণয়ের খবরটি প্রথম জানা যায় এপ্রিল মাসে। তিনি জানান, এই কঠিন সময়ে তার পরিবার সবসময় তার পাশে আছে।
তিনি সবার কাছে তাদের ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান জানানোর অনুরোধ করেন।
এরিক ডেনের প্রাক্তন স্ত্রী রেবেকা গেইহার্ট, যিনি ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেছিলেন, তাদের সম্পর্কের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
তারা তাদের দুই মেয়ে, ১৫ বছর বয়সী বিলি এবং ১৩ বছর বয়সী জর্জিয়ার অভিভাবকত্ব একসঙ্গে পালন করেন।
রেবেকা জানান, তারা এখনও ভালো বন্ধু এবং তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদের পরেও সফল ছিল।
এ.এল.এস. (Amyotrophic Lateral Sclerosis) একটি বিরল রোগ, যা স্নায়ু কোষের উপর প্রভাব ফেলে।
এর কারণে ধীরে ধীরে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে আসে। সাধারণত রোগ নির্ণয়ের পর মানুষ ৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে, তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় ধরে চলতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল