মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত মাসে খুচরা বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতিতে শ্লথগতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের তথ্য অনুসারে, মে মাসে খুচরা বিক্রি আগের মাসের তুলনায় ০.৯ শতাংশ কমেছে। এই পতনটি ছিল জানুয়ারী মাসের পর থেকে সবচেয়ে বড় মাসিক পতন।
যদিও এপ্রিল মাসেও বিক্রয় হ্রাসের প্রবণতা দেখা গিয়েছিল, তবে তা ছিল সামান্য, ০.১ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পতনের প্রধান কারণ হল গাড়ির বিক্রি কমে যাওয়া।
গাড়ির বিক্রি বাদ দিলে, খুচরা বিক্রয় কমেছে ০.৩ শতাংশ। মার্চ মাসে ভোক্তারা শুল্কের কারণে জিনিসপত্র কেনার হিড়িক তুলেছিল, বিশেষ করে গাড়ি। সেই কারণে মার্চে বিক্রি বেড়েছিল।
কিন্তু এরপর থেকে, বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবণতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কারণ, ভোক্তাদের ব্যয় হ্রাস পেলে তা সামগ্রিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের সময়ে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ফলে অনেক আমেরিকান জিনিসপত্র কেনার জন্য তাড়াহুড়ো করেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, পরবর্তী সময়ে বিক্রি কমেছে।
এই ঘটনার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা করলে দেখা যায়, বিশ্ব অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য, যেখানে রপ্তানি নির্ভরতা বেশি, তাদের অর্থনীতিতে এই পরিবর্তনের প্রভাব আসতে পারে।
যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা কমে যায়, তবে তা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মতো পণ্য রপ্তানিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে, এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
পরিস্থিতি এখনো পরিবর্তনশীল। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের মাসগুলোতে এই পরিস্থিতির আরও গভীর পর্যালোচনা করা দরকার।
তথ্য সূত্র: সিএনএন