যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভের পর ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন নিয়ে বিতর্কের শুনানি করছে।
মঙ্গলবার (তারিখ উল্লেখ করতে হবে) সান ফ্রান্সিসকোর আপিল আদালতে এই বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীকে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে মোতায়েন করেছিল।
এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন।
গভর্নর নিউসমের মতে, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন ছিল অবৈধ এবং ফেডারেল সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার।
তিনি এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নিয়েছেন।
নিম্ন আদালত আগে গভর্নরের পক্ষে রায় দিয়েছিল, তবে আপিল আদালত সেই রায়ের উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
এখন আপিল আদালত শুনানিতে বিষয়টি বিবেচনা করছে।
আদালতে শুনানিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের কারণ এবং এর আইনি ভিত্তি নিয়ে উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, ফেডারেল ভবন ও কর্মকর্তাদের রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল।
অন্যদিকে, গভর্নর নিউসম অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট উত্তেজনা বাড়িয়েছেন এবং রাজ্যের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনে (টাইটেল ১০) বলা হয়েছে, দেশের উপর আক্রমণ হলে, বিদ্রোহ দেখা দিলে অথবা যুক্তরাষ্ট্রের আইন কার্যকর করতে সমস্যা হলে প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল গার্ডকে ফেডারেল সেবায় সক্রিয় করতে পারেন।
তবে, বিচারক চার্লস ব্রেইয়ার তাঁর রায়ে উল্লেখ করেছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের পরিস্থিতি বিদ্রোহের পর্যায়ে পড়ে না।
বিচারক ব্রেইয়ার আরও বলেন, “লস অ্যাঞ্জেলেসের বিক্ষোভ ‘বিদ্রোহ’-এর সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নয়।
জনগণের প্রতিবাদ করার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সংশোধনীতে সুরক্ষিত।
কিছু খারাপ লোক সীমা অতিক্রম করলেও, সবার এই অধিকার বাতিল করা যায় না।”
প্রসঙ্গত, ১৯৬০-এর দশকে, প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন-এর আমলে, নাগরিক অধিকার রক্ষার জন্য আলাবামায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছিল।
এরপর থেকে, গভর্নরের অনুমতি ছাড়া ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ঘটনা বিরল।
এই মামলার রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে ক্ষমতার বিভাজন এবং জনগণের প্রতিবাদের অধিকারের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরবে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস