নতুন করে একটি বিমান দুর্ঘটনার শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
একই রুটে, পাঁচ দিন আগেই একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ২৯০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাতিল হওয়া ফ্লাইটটি ছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের, যা বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের মতোই।
লন্ডন গ্যাটউইক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণ করার কথা ছিল, কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট বাতিলের কথা জানায়। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ অবশ্য ফ্লাইট বাতিলের কারণ হিসেবে ‘বিমান উপলব্ধ না থাকার’ কথা উল্লেখ করেছে।
তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আকাশপথের কিছু বিধিনিষেধ এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা পরীক্ষার কারণে বিমানের শিডিউলে পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে যাত্রীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এর আগে, একই বিমানের দিল্লি থেকে আহমেদাবাদগামী একটি ফ্লাইটও ‘কারিগরি ত্রুটির’ কারণে মাঝপথ থেকে ফিরে আসে। এছাড়াও, মঙ্গলবার দিল্লি থেকে প্যারিসগামী এয়ার ইন্ডিয়ার আরেকটি ফ্লাইটও কারিগরি ত্রুটির কারণে বাতিল করা হয়।
এদিকে, ১২ই জুন, আহমেদাবাদ সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই একটি এয়ার ইন্ডিয়া বিমান বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে ঘটা এই দুর্ঘটনায় বিমানের ২৩৮ জন যাত্রী ও ক্রু-দের মধ্যে ২৯০ জনের বেশি নিহত হন।
সৌভাগ্যবশত, একজন যাত্রী, যিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক, বেঁচে যান। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডীয় নাগরিক।
এয়ার ইন্ডিয়া নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা প্রদানের কথা জানিয়েছে।
বর্তমানে, বাতিল হওয়া এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৫৯, যা আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন যাচ্ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা ২০ মিনিট পর গ্যাটউইক এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এই ঘটনার পর যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল