খরচ বাড়তির এই সময়ে, জীবনযাত্রার খরচ কমানোটা যেন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, বেড়াতে যাওয়া থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিস—সবকিছুই এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়বহুল।
এমন পরিস্থিতিতে, বাসস্থানের খরচ কমাতে পারলে জীবনযাত্রার মানে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আনা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে জীবনযাত্রার মান নিয়ে প্রতি বছর একটি সমীক্ষা চালায় Niche.com। এই সমীক্ষায় আবাসন, খাদ্য, গ্যাস এবং ট্যাক্স-এর মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করে শহরগুলোর একটি তালিকা তৈরি করা হয়।
এই বছর, Niche.com-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, টেক্সাস রাজ্যের ব্রাউন্সভিলে শহরটি জীবনযাত্রার ব্যয়ের দিক থেকে সবচেয়ে সাশ্রয়ী।
ব্রাউন্সভিলে শহরটি টেক্সাসের একেবারে দক্ষিণে, মেক্সিকো সীমান্তের কাছে অবস্থিত। এখানকার প্রায় ১ লক্ষ ৮৮ হাজার মানুষের বসবাস।
শহরটি “টেক্সাসের ট্যাকো রাজধানী” হিসাবেও পরিচিত। এছাড়া, এখানকার কাছাকাছি রয়েছে সমুদ্র সৈকত, যা শহরটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
ব্রাউন্সভিলের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এখানকার বাড়ির কম দাম। Niche.com-এর সমীক্ষায় বাড়ি কেনার জন্য সেরা শহরগুলোর মধ্যে ব্রাউন্সভিলের স্থান ১৬তম।
এখানকার একটি বাড়ির গড় দাম প্রায় ১ লক্ষ ২২ হাজার মার্কিন ডলার (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার মতো, তবে বিনিময় হার পরিবর্তনশীল)। এছাড়া, এখানে ঘর ভাড়া পাওয়া যায় মাসে ৯০০ ডলারের (প্রায় ৯৫ হাজার টাকা) মতো।
শুধু তাই নয়, শিশুদের পড়াশোনার জন্য ব্রাউন্সভিলে রয়েছে ভালো সুযোগ। এখানকার অনেক সরকারি স্কুলের গ্রেডিং এ অথবা এ+
ব্রাউন্সভিলের বাসিন্দারাও তাদের শহরের সুযোগ সুবিধার কথা জানান। তাদের মতে, ছোট শহর পছন্দ করা মানুষের জন্য ব্রাউন্সভিল আদর্শ একটি জায়গা।
এখানকার সংস্কৃতি ও ইতিহাস খুবই সুন্দর। কাছেই সৈকত থাকার কারণে এটি পর্যটকদের কাছেও বেশ প্রিয়। সবমিলিয়ে, এটি ছোট শহর এবং আধুনিক শহরের একটি দারুণ মিশ্রণ, যেখানে সবাই মিলেমিশে বসবাস করে।
আরেকটি বিষয় হলো, গত বছর ইনসাইডার মাংকি নামক একটি ওয়েবসাইটে ব্রাউন্সভিলকে অবসর জীবন কাটানোর জন্য সেরা শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
সেখানে বলা হয়েছে, এখানকার জীবনযাত্রার খরচ আমেরিকার গড় খরচের চেয়ে ২৫ শতাংশ কম।
ব্রাউন্সভিল ছাড়াও, টেক্সাসের উইচিটা ফলস শহরটিও এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এছাড়া, ইন্ডিয়ানার ইভান্সভিল, সাউথ বেন্ড এবং ওহাইয়োর ডেটন শহরও এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
জীবনযাত্রার মান নিয়ে এমন আরও তথ্য জানতে ভিজিট করুন Niche.com ওয়েবসাইটে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার