ব্রাজিলে, বিয়ের প্রস্তাবনা-সহ আনন্দ-ভরা এক অনুষ্ঠানে ভয়াবহ পরিণতি নেমে এল। সাও পাওলো রাজ্যে, একটি গরম হাওয়ার বেলুন দুর্ঘটনায় একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে, এবং আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।
জানা গেছে, সম্ভবত ওই নারী গর্ভবতী ছিলেন। খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে গত ১৫ই জুন, রবিবার, ক্যাপেলা দো আলতো শহর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, বেলুনটিতে মোট ৩৩ জন যাত্রী, একজন পাইলট এবং একজন সহকারী ছিলেন। আকাশে ওড়ার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই, বেলুনটি ভূপাতিত হয়।
নিহত নারীর নাম জিউলিয়ানা আলভেস প্রাডো পেরেইরা (২৭)। তিনি তার স্বামীর সাথে বিবাহবার্ষিকীর উদ্দেশ্যে এই ভ্রমণে এসেছিলেন। ব্রাজিলে, ভ্যালেন্টাইন’স ডে জুন মাসে পালন করা হয়।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পাইলট ফ্যাবিও সালভাদর পেরেইরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অবহেলাজনিত হত্যা এবং অবৈধভাবে বেলুন ওড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে বেলুনটি ওড়ার উপযুক্ত অনুমতি ছিল না, এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেদিন বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ ছিল।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গ্যাব্রিয়েল রোসা দো নাসিমেন্তো নামের একজন জানান, আকাশে ওড়ার সময় আরও দুটি যুগল তাদের বিয়ের প্রস্তাবনা সেরেছিলেন। উড়ানের কিছুক্ষণের মধ্যেই, তীব্র বাতাসের কারণে তাদের বেলুনটি দ্রুত নিচে নামতে শুরু করে।
পাইলট জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেন, সেই সময় কয়েকজন যাত্রী বেলুন থেকে ছিটকে পড়েন। নাসিমেন্তো আরও জানান, যখন বেলুনটি আবার মাটিতে লাগে, তখন সবাই দ্রুত বের হওয়ার চেষ্টা করেন।
কিন্তু ততক্ষণে জিউলিয়ানার গুরুতর আঘাত লাগে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়না তদন্তের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত ও প্রতিরোধ বিষয়ক আঞ্চলিক পরিষেবাও সহায়তা করছে।
ব্রাজিলিয়ান হট এয়ার বেলুন ফেডারেশন জানিয়েছে, এই বেলুনটির তাদের কোনো অনুমোদন ছিল না এবং এটি ছিল একটি ‘গোপন’ ফ্লাইট।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একটি আনন্দপূর্ণ দিনের চরম পরিণতি হয়েছে, যা সম্ভবত অনেকের কাছেই দুঃস্বপ্নের মতো।
তথ্য সূত্র: পিপল