এম্মা চেম্বারলেইন: উদ্যোক্তা জীবন এবং সুস্থ জীবনের পথে।
তরুণ প্রজন্মের কাছে পরিচিত মুখ এম্মা চেম্বারলেইন। সম্প্রতি, নিজের জীবনের নতুন একটি অধ্যায় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি, যেখানে ব্যক্তিগত উন্নতির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে তার সাফল্যের গল্পও ফুটে উঠেছে।
নিজের প্রতিষ্ঠিত কফি ব্র্যান্ড, চেম্বারলেইন কফি এবং জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম পিন্টারেস্ট-এর মধ্যেকার এক অসাধারণ অংশীদারিত্বের গল্প শুনিয়েছেন তিনি।
পঁচিশ বছর বয়সী এই প্রভাবশালী নারী দীর্ঘদিন ধরেই “সচেতন জীবন” যাপন করছেন। রাতে বন্ধুদের সাথে মদ্যপানের বদলে কফি শপে সময় কাটানোই তার পছন্দ।
তিনি বলেন, “আমি চাই, কফি শপগুলো যেন রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে। মদ্যপান করতে ভালো না লাগলে, আমি তখন এক কাপ এসপ্রেসো কফি খেতে চাই।” এই ভাবনা থেকেই তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
চেম্বারলেইন কফির যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালে, যখন তিনি নিজের কফি ব্র্যান্ড তৈরি করেন। বর্তমানে, এই ব্র্যান্ডটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সম্প্রতি পিন্টারেস্টের সাথে তার অংশীদারিত্ব হয়, যা প্ল্যাটফর্মটির ইতিহাসে প্রথম কোনো ব্র্যান্ডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ। এম্মা জানান, “আমি ছোটবেলা থেকেই পিন্টারেস্ট ব্যবহার করি। স্কুলের লাঞ্চের সময় বোর্ডের জন্য ছবি খুঁজে বের করতাম। আমার কর্মজীবনেও পিন্টারেস্ট ছিল এক বন্ধুর মতো।”
এই অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে, এম্মা চেম্বারলেইন একটি বিশেষ স্বাদের কফি নিয়ে এসেছেন, যার নাম “সি সল্ট টফি”। এটি তৈরি হয়েছে পিন্টারেস্টের “ফিশারম্যান অ্যাস্থেটিক” ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে।
এই অ্যাস্থেটিকের মূল ভাবনা হলো, একটি ছোট জেলে পাড়ার জীবনযাত্রা। এম্মা বলেন, “ছোটবেলায় আমি ১৫ বছর ধরে গ্রীষ্মের ছুটিতে মেইনে যেতাম। সেখানকার জীবনযাত্রা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এই অ্যাস্থেটিক আমার কাছে খুবই প্রিয়।”
নিজের কাজ এবং জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা নিয়েও কথা বলেছেন এম্মা। তিনি জানান, ইউটিউবে খ্যাতি পাওয়ার পর, তিনি এই বিষয়ে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়েছেন।
তিনি মনে করেন, ব্যক্তিগত এবং পেশাদার জীবনের এই মিশ্রণ তার কাজের “জাদু”।
কফির প্রতি তার ভালোবাসার কারণ ব্যাখ্যা করে এম্মা বলেন, “ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের সাথে কফি শপে যাওয়াটা আমার কাছে খুব আরামদায়ক ছিল।” তিনি আরও যোগ করেন, “ক্যাফেইনের পরিমাণ সম্পর্কে আমাকে সচেতন হতে হয়েছে।
একসময় আমি প্রচুর কফি খেতাম, কিন্তু এখন দিনে তিন কাপের বেশি খাই না।”
বর্তমানে, এম্মা তার জীবনের নতুন একটি পর্যায়ে প্রবেশ করেছেন। তিনি বলেন, “গত এক বছরে আমি আমার জীবনে সুন্দর একটি জায়গায় পৌঁছেছি। আমি আমার সৃজনশীলতাকে লালন করতে শিখেছি। এখন আমি অনেক বেশি উৎপাদনশীল এবং আবেগগতভাবে স্থিতিশীল।”
এম্মার এই উদ্যোক্তা জীবনের গল্প, তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। তার কাজের প্রতি ভালোবাসা এবং সুস্থ জীবনের প্রতি মনোযোগ, আমাদের সকলের জন্য অনুকরণীয়।
তথ্য সূত্র: পিপল