বিখ্যাত ট্যাটু শিল্পী, যিনি ‘ব্যাং ব্যাং’ নামেই পরিচিত, তাঁর আসল নাম হল কিথ ম্যাককার্ডি। তিনি ট্যাটুর জগতে নতুন এক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছেন, যা শিল্পী এবং প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এই নতুন উদ্ভাবনটি হল ‘এ.ই.আর.ও.’ (A.E.R.O. বা আর্টিস্ট এনাবল্ড রোবোটিক অপারেটর)। এটি এমন একটি রোবট যা মানুষের চেয়েও সূক্ষ্মভাবে ট্যাটু তৈরি করতে সক্ষম।
‘এ.ই.আর.ও.’ মূলত একটি সূচিকর্ম মেশিনের মতো কাজ করে। শিল্পী প্রথমে ট্যাটুর ডিজাইন তৈরি করেন এবং সেই ডিজাইনটি মেশিনে প্রোগ্রাম করেন।
এরপর রোবটটি ত্বকের উপর নকশাটি চিহ্নিত করে এবং অত্যন্ত নির্ভুলভাবে ট্যাটু তৈরি করে। ব্যাং ব্যাং ব্যাখ্যা করেছেন, এই মেশিনটি ত্বকের প্রতিটি স্তরকে মাইক্রোনে পরিমাপ করে, যা মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়।
এই প্রযুক্তিটি ট্যাটু শিল্পের ভবিষ্যৎকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।
বর্তমানে, এই অত্যাধুনিক মেশিনটি শুধুমাত্র ব্যাং ব্যাং-এর নিউ ইয়র্কের স্টুডিওতেই উপলব্ধ। তবে ‘ব্ল্যাকডট’ নামক একটি টেক্সাসের কোম্পানি এই প্রযুক্তির নির্মাতা এবং তারা আরও অনেকগুলো প্রোজেক্টের ওপর কাজ করছে।
আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই আরও অনেক ট্যাটু স্টুডিওতে এই রোবট ব্যবহার করা যাবে।
এই প্রযুক্তির প্রধান সুবিধাগুলির মধ্যে একটি হল, বিখ্যাত শিল্পীদের ডিজাইন এখন সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আরও সহজে পৌঁছে দেওয়া যাবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো ক্লায়েন্ট ‘মি. কে’-এর ডিজাইন চান, কিন্তু শিল্পী তখন নিউ ইয়র্কে না থাকেন, সেক্ষেত্রে রোবট সেই কাজটি করতে পারবে।
ব্যাং ব্যাং স্পষ্ট করেছেন, এই রোবট আর্টিস্টদের স্থান নেবে না, বরং তাদের কাজকে আরও উন্নত করবে। এটি শিল্পীদের দক্ষতা বাড়াতে এবং তাদের কর্মজীবনের মেয়াদ বাড়াতে সহায়ক হবে।
কারণ, বয়স্ক শিল্পীরাও এই মেশিনের মাধ্যমে তাঁদের শিল্পকর্ম চালিয়ে যেতে পারবেন।
ইতিমধ্যে, ব্যাং ব্যাং-এর স্টুডিওতে এই রোবট ব্যবহারের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং শুরু হয়েছে। ক্লায়েন্টরা এখন রোবটের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা ডিজাইন থেকে বেছে নিতে পারেন।
ডিজাইন, শিল্পীর খ্যাতি এবং ট্যাটুর আকারের উপর নির্ভর করে এর দাম ভিন্ন হতে পারে।
তথ্যসূত্র: পিপল