রয়েল অ্যাসকটে প্রিন্সেস বিট্রিস: কেন রাজা চার্লসের সাথে শোভাযাত্রায় অংশ নেননি?
প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হওয়া ঐতিহ্যপূর্ণ রয়্যাল অ্যাসকট ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শুধু একটি ক্রীড়া ইভেন্টই নয়, বরং এটি ব্রিটিশ সমাজের অভিজাত শ্রেণীর কাছে আভিজাত্য ও ঐতিহ্যের প্রতীক। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া এই প্রতিযোগিতায় রাজ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
তবে এবারের আসরে একটি বিষয় অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, আর সেটি হলো প্রিন্সেস বিট্রিসের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে শোভাযাত্রায় অংশ না নেওয়া।
ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের মিশেল
রয়্যাল অ্যাসকটের সূচনা হয়েছিল ১৭১১ সালে, রাণী অ্যানের হাত ধরে। এই আয়োজনটি মূলত রাজাদের জন্য উপযুক্ত ঘোড়া নির্বাচনের স্থান হিসেবে পরিচিত ছিল।
সেই থেকে, ব্রিটিশ রাজ পরিবার এই ঘোড়দৌড়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। রয়্যাল অ্যাসকটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো ঘোড়ার গাড়ির শোভাযাত্রা, যা প্রায় দুইশ বছর ধরে চলে আসছে।
১৮২৫ সালের ৩১শে মে, চতুর্থ জর্জের নেতৃত্বে উইন্ডসর ক্যাসেল থেকে অ্যাসকট পর্যন্ত রাজ পরিবারের সদস্যরা চারটি ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে যাত্রা করেছিলেন। সেই থেকে এই শোভাযাত্রা রয়্যাল অ্যাসকটের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।
প্রিন্সেস বিট্রিসের অনুপস্থিতির কারণ
এবারের অ্যাসকটে প্রিন্সেস বিট্রিস এবং তাঁর স্বামী এদোয়ার্দো ম্যাপেলি মজিকে দেখা গেলেও, তাঁরা রাজা তৃতীয় চার্লস এবং কুইন ক্যামিলার সঙ্গে শোভাযাত্রায় অংশ নেননি।
তাঁদের এই অনুপস্থিতির কারণ সম্ভবত গাড়ির স্থান সংকুলান। রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্য, যেমন – প্রিন্সেস অ্যান এবং তাঁর ছেলে পিটার ফিলিপসকে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা গেলেও, প্রিন্সেস বিট্রিস, জারা ও তাঁর স্বামীরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।
রাজ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও অ্যাসকটের আকর্ষণ
প্রিন্সেস বিট্রিস এবং তাঁর স্বামী এদোয়ার্দো ম্যাপেলি মজি ছাড়াও, জারা ও তাঁর স্বামী মাইক টিন্ডালকেও রেস উপভোগ করতে দেখা গেছে। এমনকি তাঁরা রাজা ও কুইন ক্যামিলার সঙ্গে উষ্ণ অভিবাদনও বিনিময় করেন।
মাইক টিন্ডাল কুইন ক্যামিলার গালে চুমুও দেন। রয়্যাল অ্যাসকট শুধু রাজ পরিবারের সদস্যদের মিলনস্থলই নয়, এটি তাঁদের ঘোড়দৌড়ের প্রতি ভালোবাসারও বহিঃপ্রকাশ।
প্রয়াত রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ঘোড়া ‘এস্টিমেট’ ২০১৩ সালে গোল্ড কাপ জেতার মাধ্যমে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল।
ঐতিহ্যপূর্ণ এই আয়োজনটি ব্রিটিশ রাজপরিবারের জন্য একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এটি তাঁদের ঐতিহ্য, আভিজাত্য এবং খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসার প্রতীক।
তথ্য সূত্র: পিপলস