বিনোদন এবং খাদ্যপ্রেমের এক অবিচ্ছেদ্য নাম ফিল রোজেনথাল। বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের নেশা এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির খাবার নিয়ে তাঁর আকর্ষণ বিশ্বজুড়ে পরিচিত। নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘সামবডি ফিড ফিল’-এর মাধ্যমে তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন।
সম্প্রতি, এই অনুষ্ঠানের অষ্টম সিজন আসতে চলেছে, যেখানে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর স্থানে।
ছোটবেলায় আটলান্টার একটি সেভেন-ইলেভেনে স্লার্পি পান করার সময় রোজেনথালের মনে ভ্রমণের প্রথম বীজ বোনা হয়েছিল। তাঁর বয়স তখন মাত্র নয় বছর।
টিভির পর্দায় দেখা জগৎগুলি তাঁকে আকৃষ্ট করত। পরবর্তীতে, ২৩ বছর বয়সে প্যারিস এবং ফ্লোরেন্সে ভ্রমণের মাধ্যমে তাঁর জীবন নতুন মোড় নেয়। সেই থেকেই ভ্রমণ তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।
রোজেনথালের এই ভ্রমণের আগ্রহের পেছনে রয়েছে অভিনেতা রে রোমানোর অনুপ্রেরণা। ‘এভরিবডি লাভস রেমন্ড’ -এর সেটে রোমানোর সঙ্গে আলাপকালে, তাঁর ভ্রমণ-পরিকল্পনা শুনে রোজেনথাল অনুপ্রাণিত হন।
এরপর, রোমানোকে নিয়ে একটি পর্ব তৈরি করার মাধ্যমে, তিনি দর্শকদের ভ্রমণের প্রতি আকৃষ্ট করতে চেয়েছিলেন।
‘সামবডি ফিড ফিল’ তৈরি হওয়ার আগে রোজেনথালকে দীর্ঘ দশ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। অবশেষে, তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয় এবং এই অনুষ্ঠানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
অনুষ্ঠানে তিনি বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও খাবারের সঙ্গে দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেন।
নতুন সিজনে আমস্টারডাম, জর্জিয়ার তিবিলিসি, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও অ্যাডিলেইড, ফিলিপাইনের ম্যানিলা, লাস ভেগাস, বোস্টন এবং গুয়াতেমালা সহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেছেন রোজেনথাল।
গুয়াতেমালায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানকার স্থানীয় খাবার, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের আধুনিক উপস্থাপনা তাঁকে মুগ্ধ করেছে।
খাবারের শহর হিসেবে রোজেনথালের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ব্যাংকক। তাঁর মতে, ব্যাংককের খাবার বিশ্বের সেরা। এছাড়াও, অরল্যান্ডো এবং লাস ভেগাসের মতো স্থানগুলোও খাদ্যরসিকদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে।
ভ্রমণের ক্ষেত্রে রোজেনথালের মূলমন্ত্র হল, “অতিরিক্ত পরিকল্পনা না করা”। তিনি আকস্মিক অভিজ্ঞতা এবং স্থানীয় পরামর্শের ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি মনে করেন, অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলোই ভ্রমণের স্মৃতিগুলোকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। রেস্টুরেন্ট বাছাই করার ক্ষেত্রে, তিনি পর্যটকদের জন্য তৈরি করা মেনুগুলি এড়িয়ে চলেন।
রোজেনথালের মতে, ভ্রমণের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন নেই। তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, “এখনই সময়, বেরিয়ে পড়ুন।”
বন্ধু বা হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ হল, সেখানে যাওয়া এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা।
রোজেনথালের মতে, ভ্রমণ কেবল ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়, বরং এটি বিশ্বকে নতুনভাবে দেখার সুযোগ তৈরি করে। এর মাধ্যমে, আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে পারি এবং অন্যদের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি।
তথ্যসূত্র: ট্র্যাভেল অ্যান্ড লেজার