নবজাতকের প্রথম স্নান নিয়ে শাশুড়ির আবদার, নতুন মায়ের আপত্তি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নতুন মা তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন, যা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাঁর শাশুড়ি নাকি একটি “প্রথম স্নান অনুষ্ঠান” (First Bath Ceremony) আয়োজন করতে চেয়েছিলেন, যা নিয়ে তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।
জানা যায়, ওই নারীর শাশুড়ি ঐতিহ্য ভালোবাসেন। তিনি নাকি চান পরিবারের সবার উপস্থিতিতে শিশুর প্রথম স্নান হোক, যেখানে তেল, ফুল এবং “ঠাকুরমার আশীর্বাদ”-এর মতো বিষয়গুলো থাকবে।
কিন্তু নতুন মা জানান, তিনি এই ধরনের কোনো অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আগ্রহী নন। তাঁর মতে, শিশুর স্নান এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং তাঁর এই “ফেসবুক থেকে তৈরি করা” অনুষ্ঠানে কোনো আগ্রহ নেই।
এই ঘটনায় শাশুড়ি বেশ ক্ষুব্ধ হন এবং তাঁর পুত্রবধূকে “সংস্কৃতিকে অসম্মান” করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। শাশুড়ির দাবি, পুত্রবধূ নাকি “আধ্যাত্মিকভাবে বৈরী”।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে অনেকে নতুন মায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, শাশুড়ির এই “অনুষ্ঠান”-এর মূল উদ্দেশ্য সম্ভবত নিজের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করা।
সাধারণত, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে পরিবারের প্রবীণদের সম্মান এবং ঐতিহ্য রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। তবে আধুনিক যুগে অনেক মা-বাবাই তাঁদের সন্তানের জন্য নতুন ধরনের চিন্তা-ভাবনা করেন।
এই ঘটনাটি সেই ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মধ্যেকার একটি দ্বন্দ্বকেই যেন তুলে ধরে। একদিকে শাশুড়ির ঐতিহ্য রক্ষার আকাঙ্ক্ষা, অন্যদিকে নতুন মায়ের নিজস্ব সিদ্ধান্ত—এই দুইয়ের মধ্যেকার ভারসাম্য কিভাবে রক্ষা করা যায়, তা নিয়ে হয়তো অনেক পরিবারে আলোচনা হতে পারে।
তথ্যসূত্র: পিপল