ভার্জিনিয়া সমুদ্র সৈকতে তৈরি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ‘ওয়েভগার্ডেন’, যা সার্ফিং প্রেমীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত!
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া সমুদ্র সৈকতে খুব শীঘ্রই চালু হতে যাচ্ছে ‘অ্যাটলান্টিক পার্ক সার্ফ’। এটি ওয়েভগার্ডেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সার্ফিং স্থান। এখানে সারা বছর ধরে নিয়মিতভাবে সার্ফিং করার সুযোগ থাকবে।
সমুদ্র থেকে মাত্র দুই ব্লক দূরে, প্রায় ১০ একর জমির ওপর নির্মিত এই বিনোদন কেন্দ্রটি আগামী জুলাই মাস নাগাদ চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
ভার্জিনিয়া বিচ দীর্ঘদিন ধরেই পূর্ব উপকূলের সার্ফিংয়ের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ১৯১২ সালে স্থানীয় কিশোর জেমস এম. জর্ডান জুনিয়র, হাওয়াই থেকে আসা একটি রেডউড সার্ফবোর্ড ব্যবহার করে প্রথম সার্ফিং শুরু করেন।
সেই থেকে এখানকার সার্ফিং সংস্কৃতি আজও বিদ্যমান। বর্তমানে এখানে ‘কোস্টাল এজ ইস্ট কোস্ট সার্ফিং চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর মতো জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
‘অ্যাটলান্টিক পার্ক’-এর একটি অংশ হিসেবে এই সার্ফিং স্থানটি তৈরি করা হচ্ছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের রাইড উপভোগ করা যাবে।
নতুনদের জন্য সহজ ঢেউ থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ সার্ফারদের জন্য দ্রুত গতির ঢেউ—সব ধরনের সুযোগ এখানে থাকবে। প্রতিটি সেশন হবে ৫৫ মিনিটের, যার টিকেটের মূল্য শুরু হবে প্রায় ১০০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায়, আনুমানিক ১১,০০০ টাকার বেশি)।
এখানে প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে স্থানীয় অভিজ্ঞ সার্ফাররা প্রশিক্ষণ দেবেন।
ভার্জিনিয়া বিচ শহরের ডেপুটি সিটি ম্যানেজার আমান্ডা জ্যারেট এক সাক্ষাৎকারে জানান, “আমাদের এখানে দীর্ঘদিনের সার্ফিং সংস্কৃতি রয়েছে, তবে এই নতুন সংযোজন আমাদের পর্যটন খাতে বিশেষ মাত্রা যোগ করবে।
এটি সার্ফারদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে তারা তাদের দক্ষতা বাড়াতে পারবে।”
এখানে উল্লেখ্য যে, এক সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীত ভেন্যু ‘ডোম’-এর স্থানে এই পার্কটি তৈরি হচ্ছে। যেখানে একসময় জিমি হেন্ডরিক্স ও রে চার্লসের মতো কিংবদন্তি শিল্পীরা পারফর্ম করেছেন।
এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের পর্যটন খাতেও নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। যদিও বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত এমন কোনো সুবিধা নেই, তবে ভবিষ্যতে সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে এ ধরনের বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করা যেতে পারে।
এতে করে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ বাড়ানো সম্ভব হবে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল + লেজার