মার্কিন অভিনেত্রী মারিসা বোড, যিনি হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন, সম্প্রতি বিমানবন্দরে তার একটি অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
সাধারণত বিমানবন্দর কর্মীদের কাছ থেকে তিনি যে ধরনের ব্যবহার পান, তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল এই অভিজ্ঞতা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে বোড জানান, বিমানবন্দরে একবার একজন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট কর্মীদেরকে সরাসরি তার কাছে জানতে চাইতে বলেন, তার কি প্রয়োজন।
“তাকে জিজ্ঞাসা করুন, তার কি দরকার,” – এই একটি কথা শুনে তিনি বেশ অবাক হয়েছিলেন। কারণ, এর আগে বিমানবন্দরে তিনি প্রায়ই এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, যেখানে কর্মীরা তার সঙ্গে কথা না বলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতেন, যেন তিনি সেখানে উপস্থিতই নেই।
বোডের মতে, এই ধরনের আচরণ তাকে “পুরোপুরি অদৃশ্য” করে তোলে।
বোড জানান, কর্মীদের এই ধরনের আচরণ তাকে হতাশ করে তোলে।
তিনি উল্লেখ করেন, অনেক সময় কর্মীরা তার সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জানতে চান না, বরং নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন।
এই বিষয়টি তার কাছে অত্যন্ত ক্লান্তিকর।
অন্যদিকে, ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টের এই মানবিক আচরণ বোডকে মুগ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, এমন আচরণই তো স্বাভাবিক হওয়া উচিত, কিন্তু বাস্তবে সবসময় তেমনটা দেখা যায় না।
তার মতে, এই ধরনের ঘটনা, যা আসলে একটি ব্যতিক্রম, তাকে বিশেষভাবে আলোড়িত করেছে।
বিমানবন্দরে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের প্রতি কর্মীদের এই ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরেই অভিযোগ উঠছে।
এই প্রসঙ্গে, জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগ (U.S. Department of Transportation) আমেরিকান এয়ারলাইন্সকে (American Airlines) যাত্রী-অধিকার লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা করেছে।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে এই জরিমানা করা হয়।
পরিবহন বিভাগের প্রাক্তন সচিব, পিট বুটিগিগ (Pete Buttigieg) এক বিবৃতিতে জানান, “প্রতিবন্ধী বিমান যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের দিন শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের জরিমানার মাধ্যমে, আমরা বিমান সংস্থাগুলির জন্য জবাবদিহিতার একটি নতুন মান নির্ধারণ করছি।
এর ফলে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাবে।
তথ্য সূত্র: পিপলস