মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি টেনেসির একটি আইন বহাল রেখেছে, যেখানে শিশুদের লিঙ্গ-নিশ্চিতকরণ চিকিৎসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ রায়ের ফলে দেশটির ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের অধিকারের পক্ষে যারা কাজ করেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা।
৬-৩ ভোটে আসা এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রক্ষণশীল বিচারকদের প্রাধান্য দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হয়।
এই আদালত কোনো রাজ্যের আইনে হস্তক্ষেপ করতে পারে, যদি সেই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়। টেনেসির এই আইনটি মূলত সেই রাজ্যের শিশুদের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এই ধরনের চিকিৎসা সাধারণত হরমোন থেরাপি বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে করা হয়। এই রায়ের ফলে অন্যান্য রাজ্যেও একই ধরনের আইন প্রণয়নের সম্ভাবনা বেড়ে গেল।
ইতিমধ্যে, আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন আইন তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে বিশেষভাবে শিশুদের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে রিপাবলিকান পার্টি-শাসিত রাজ্যগুলোতে এই ধরনের আইনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই বিষয়ে তার ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এই সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
তার সঙ্গে আরও পাঁচজন রক্ষণশীল বিচারক এই রায়ের পক্ষে ছিলেন। তিনজন উদারপন্থী বিচারক এর বিরোধিতা করেছেন। বিচারপতি রবার্টস তার রায়ে উল্লেখ করেছেন, চিকিৎসা পদ্ধতির নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং উপযুক্ততা নিয়ে বিজ্ঞান ও নীতিগত বিতর্ক রয়েছে, যা একটি জটিল বিষয়।
এই বিতর্কের সঙ্গে জড়িত সকলের উদ্বেগকে সম্মান জানানো উচিত। এই মামলার শুনানিতে, বাইডেন প্রশাসন এই আইনের বিরোধিতা করেছিল।
তবে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে, ট্রান্সজেন্ডার অধিকারকর্মীদের উদ্বেগের কারণ হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে অন্যান্য রাজ্যেও একই ধরনের আইন তৈরির পথ খুলতে পারে।
এই ঘটনার ফলে, যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত নীতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তথ্য সূত্র: সিএনএন