যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ৫৫টি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তা ক্রিস্টিনা ফরমেল্লা নামের ওই শিক্ষিকা ডাউনার্স গ্রোভ হাই স্কুলের বিশেষ শিক্ষা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, ১৫ বছর বয়সী এক ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গত মার্চ মাসে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ছাত্রের মায়ের নজরে আসে শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যেকার কিছু আপত্তিকর বার্তা। এর পরেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
প্রাথমিক তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি যৌন নিপীড়ন এবং দুটি গুরুতর অপরাধমূলক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। স্কুলের পক্ষ থেকে তাকে বরখাস্তও করা হয়।
তবে, পরবর্তীতে তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শিকাগো ট্রিবিউন, এবিসি ৭ এবং ডব্লিউআরআইসি-এর খবর অনুযায়ী, প্রসিকিউটর নতুন করে আরও অনেক অভিযোগ যুক্ত করেছেন।
জানা যায় অভিযোগের তালিকায় ছাত্রকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষিকা ছাত্রটির বয়স যখন ১৪ বছর, তখন থেকেই তাকে ‘গ্রুম’ করা শুরু করেন।
স্কুল চলাকালীন সময়ে এবং শিক্ষিকার নিজের বাড়িতে অন্তত ৪৫ বার ওই ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন তিনি।
ডুপেজ কাউন্টি স্টেট’স অ্যাটর্নি জ্যাকলিন ম্যাকএন্ড্রু জানান, অভিযুক্ত ক্রিস্টিনা ফরমেল্লা ভালো করেই জানতেন তিনি কী করছেন।
তদন্তকারীরা কয়েক’শ, এমনকি হাজারেরও বেশি টেক্সট মেসেজ উদ্ধার করেছেন, যা কিশোরের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মিলে যায়।
শুরুতে, গ্রেফতারের সময় ক্রিস্টিনা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি জানান, ওই ছাত্র তাকে ‘স্টক’ করত এবং তার স্বামীও বিষয়টির সম্পর্কে অবগত ছিলেন।
যদিও পরে জানা যায়, তার স্বামী ওই ছাত্রকে কেবল একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে চিনতেন এবং তাদের মধ্যেকার কোনো সম্পর্ক সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। এমনকি, তিনি স্ত্রীর ফোনও ঘাঁটাঘাঁটি করতেন না।
প্রসিকিউটর আরও জানিয়েছেন, শিক্ষিকা তার ফোনে একটি ‘স্মৃতিকথা’ লিখে রাখতেন, যেখানে তিনি ওই কিশোরের প্রতি তার রাগ প্রকাশ করতেন।
আদালতে বিচারক মিয়া ম্যাকফারসন এই মামলার বিবরণকে ‘ভয়াবহ’ এবং ‘ அதிர்ச்சிজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষিকার সর্বোচ্চ ৬০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতন একটি গুরুতর অপরাধ এবং এটি বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের একটি কারণ।
বাংলাদেশেও শিশুদের সুরক্ষায় বিভিন্ন আইন ও বিধি বিদ্যমান। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধকল্পে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।
তথ্যসূত্র: পিপল