ব্রিটিশ নাগরিক, যিনি শরণার্থী নারীদের সহায়তায় জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, নিজের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে লন্ডনের একটি বাড়িতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় হতভাগ্য নারীর নাম অ্যানাবেল রুক। ৪৬ বছর বয়সী অ্যানাবেলের মরদেহ উদ্ধারের কিছুক্ষণ পরেই তার বাড়িতে গ্যাস লিকেজের কারণে বিস্ফোরণ ঘটে।
পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অ্যানাবেলকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর গ্যাস লিকেজের কারণে বিস্ফোরণ ঘটে তার বাড়িতে।
এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিটেকটিভ চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ব্রিটানি ক্লার্ক জানান, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার দিন ভোর ৫টার দিকে একটি বাড়ির বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
বিস্ফোরণের সময় ওই বাড়ির ভেতরে একজন আটকা পড়েছিলেন। পরে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয় ওই ব্যক্তিকে।
বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশের ধারণা, এটি একটি ‘ঘরোয়া-সম্পর্কিত’ ঘটনা।
আনাবেল রুক ছিলেন একজন সমাজকর্মী এবং ‘মামা সুজে সিআইসি’ নামের একটি সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
তার সংস্থাটি শরণার্থী ও অভিবাসী নারীদের, বিশেষ করে যারা পারিবারিক সহিংসতার শিকার, তাদের সাহায্য করে আসছিল।
বিবিসি সহ বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অ্যানাবেল দীর্ঘদিন ধরে শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করেছেন এবং তাদের জন্য নিবেদিত ছিলেন।
তিনি আর্ট ও নাটকের মাধ্যমে নারীদের পুনর্বাসনে সাহায্য করতেন।
আনাবেলের কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ‘প্যান ইন্টারকালচারাল আর্টস’-এ ১৬ বছর কাজ করেছেন।
এই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আনাবেল ছিলেন একজন শ্রদ্ধেয় কর্মী এবং স্থানীয় সাহায্য সম্প্রদায়ের একজন অগ্রণী ব্যক্তি।
তার অদম্য উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাস অন্যদের মধ্যে নতুন আশা জাগাতো।
তার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করে তারা জানান, এটি তাদের জন্য বিশাল ক্ষতি।
বাংলাদেশেও নারীদের প্রতি সহিংসতা একটি গুরুতর সমস্যা।
বিভিন্ন এনজিও এবং সরকারি সংস্থা নির্যাতিত নারীদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস