মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যে, প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে তাকে হত্যার দায়ে এক নারীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় প্রেমিকের ডাস্টবিনে অন্য নারীর ব্যবহৃত একটি ট্যাম্পন খুঁজে পাওয়ার পর।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৩১ বছর বয়সী জুলি বুশকে আদালত ১২ থেকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
আদালতের নথি এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলি বুশ ও ৫১ বছর বয়সী রিচার্ড পেনার্ডো জুনিয়রের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন, বুশ পেনার্ডোর বাড়িতে যান এবং সেখানে ডাস্টবিনে একটি ট্যাম্পন খুঁজে পান।
এরপর তাদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, ঝগড়ার এক পর্যায়ে বুশ তার গাড়ি নিয়ে পেনার্ডোকে চাপা দেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর পেনার্ডোর মৃত্যু হয়।
আদালতে দোষ স্বীকার করার পর, বুশকে স্বেচ্ছায় খুন এবং মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর (ডিইউআই) অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
বিচারক মামলার শুনানিতে বুশকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
বিচার চলাকালীন, বুশ তার বক্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “আমি তাকে খুব ভালোবাসতাম। আমি দুঃখিত যে সে মারা গেছে এবং আমি যদি পারতাম তবে এই ঘটনা বদলাতে চেষ্টা করতাম।” তার আইনজীবী জানান, বুশের ৫ বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
এই ঘটনার পর, অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। এই ধরনের ঘটনাগুলো আমাদের সমাজে বিদ্যমান সম্পর্কের জটিলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
যদি কোনো ব্যক্তি এই ধরনের সহিংসতার শিকার হন, তবে তাদের জন্য বাংলাদেশেও সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে। নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হটলাইন ১০৯২১ নম্বরে ফোন করে অথবা তাদের ওয়েবসাইটে (www.dwa.gov.bd) যোগাযোগ করে সহায়তা চাইতে পারেন।
তথ্য সূত্র: পিপলস