বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব অ্যান বারেল-এর প্রয়াণ, রান্নার জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে, খাদ্য বিষয়ক টেলিভিশন চ্যানেল ফুড নেটওয়ার্ক-এর জনপ্রিয় এই তারকার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্বজুড়ে।
মঙ্গলবার, ১৭ই জুন তারিখে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অ্যান বারেল-এর জীবন ছিল সংগ্রামের, আর সেই সংগ্রামের পথ ধরেই তিনি পৌঁছেছিলেন সাফল্যের শিখরে। ছোটবেলায় তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, রান্নাই তার আসল ঠিকানা।
কলেজে পড়ার সময় তিনি ওয়েটার হিসেবে কাজ করতেন, এবং সেই সময়েই খাবারের প্রতি তার ভালোবাসা জন্মায়। কাজ করতে গিয়েই তিনি অনুভব করেন, “এটাই আমার জায়গা, আমি এখানেই থাকতে চাই।
তবে, শুরুতে বাবা-মায়ের প্রত্যাশা ছিল ভিন্ন। তারা চেয়েছিলেন, অ্যান যেন একটি ‘প্রকৃত’ চাকরি করেন।
কিন্তু বারেলের মন তো ছিল অন্য কোথাও বাঁধা। পরবর্তীতে তিনি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি নেন, যেখানে সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টা কাজ করতে হতো, এবং অন্য কোনো কাজ করারও সুযোগ ছিল না।
সেই সময়ে তিনি হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন। এরপরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, রন্ধনশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করবেন।
এর পরেই তিনি ভর্তি হন আমেরিকার বিখ্যাত ‘কুলিনারি ইন্সটিটিউট অফ আমেরিকা’-তে। সেখানেই তিনি রন্ধনশিল্পের গভীরতা সম্পর্কে জানতে পারেন এবং নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।
অ্যান বারেল-এর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তাঁর পরিবার। তাঁর স্বামী স্টুয়ার্ট ক্ল্যাক্সটন, সৎ ছেলে হাভিয়ের, সন্তান ইসাবেলা, অ্যামেলিয়া ও নিকোলাস, মা মারলিন এবং ভাইবোন জেন ও বেন-এর প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “অ্যান ছিলেন আমাদের প্রিয় স্ত্রী, বোন, কন্যা, সৎ মা এবং বন্ধু। তাঁর হাসি প্রতিটি ঘরকে আলোকিত করত। তাঁর উষ্ণতা, চেতনা এবং সীমাহীন ভালোবাসা চিরকাল আমাদের মাঝে থাকবে।
তবে, তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। রন্ধনশিল্পের জগতে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তাঁর রান্নার প্রতি ভালোবাসা, এবং খাদ্য বিষয়ক অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি, বিশ্বজুড়ে খাদ্যপ্রেমীদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।