মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক (Director of National Intelligence – DNI) হিসেবে দায়িত্ব পালন করা তুলসি গ্যাবার্ড বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। খবর অনুযায়ী, ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক আগের মতো নেই এবং গ্যাবার্ড এখন ‘বার্তা থেকে বিচ্যুত’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি সংক্রান্ত বিষয়ে গ্যাবার্ডের বক্তব্য ট্রাম্পের ভালো লাগেনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিগুলোতে গ্যাবার্ডের সুস্পষ্ট অবস্থান থাকলেও, হোয়াইট হাউসের ভেতরে অনেকে তার কর্মক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান। একজন শীর্ষ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে গ্যাবার্ডের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য ট্রাম্পকে হতাশ করেছে।
গ্যাবার্ডের একটি ভিডিও বার্তায় পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল, যেখানে ‘রাজনৈতিক এলিট’ এবং ‘যুদ্ধবাজদের’ সমালোচনা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প এই ভিডিওটিকে নিজের নীতির প্রতি পরোক্ষ সমালোচনা হিসেবে দেখছেন।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের মতে, গ্যাবার্ড তার পদে নতুন এবং দায়িত্ব সম্পর্কে এখনো ভালোভাবে অবগত নন। যদিও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সসহ কয়েকজন গ্যাবার্ডের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, তবে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গ্যাবার্ড অবশ্য গোয়েন্দা সম্প্রদায়ে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন এবং বিভিন্ন খাতে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করেছেন বলে জানা গেছে।
ডিএনআই-এর কাজটি বেশ জটিল, কারণ এটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (Central Intelligence Agency – CIA) সহ বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এবং সমন্বয় করার দায়িত্ব পালন করে।
গ্যাবার্ড এই পদে আসার পর থেকে অফিসের কার্যকারিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। তবে কিছু ডেমোক্র্যাট এবং প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করেন, গ্যাবার্ড এই অফিসের নিরপেক্ষতা নষ্ট করছেন এবং ট্রাম্পের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এর অপব্যবহার করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গ্যাবার্ডের এই ধরনের কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলাদেশের জন্য এই ধরনের ঘটনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের বিষয়ে ধারণা দেয়।
তথ্যসূত্র: সিএনএন