আর্টিকেল লেখার পরিকল্পনা অনুযায়ী নিচে একটি নতুন নিবন্ধ দেওয়া হলো:
শিরোনাম: যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর: বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য একটি পর্যালোচনা।
বর্তমানে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যান। ভ্রমণ বিষয়ক এই আগ্রহের কারণে, কোন গন্তব্যগুলো আমাদের জন্য বেশি ব্যয়বহুল, তা জানা জরুরি।
সম্প্রতি, একটি গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দামি শহর হিসেবে কলোরাডোর “আস্পেন”-এর নাম উঠে এসেছে। যারা বিদেশ ভ্রমণে আগ্রহী, তাদের জন্য এই তথ্য জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“GOBankingRates” নামক একটি গবেষণা সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় স্থানগুলোর মধ্যে পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরগুলো চিহ্নিত করতে একটি জরিপ পরিচালনা করে। এই গবেষণায় দেখা যায়, আস্পেন-এ দুইজন মানুষের তিন দিনের ভ্রমণের খরচ প্রায় ২,৭০০ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৩ লক্ষ টাকার সমান (পরিবর্তনশীল বিনিময় হার)।
আস্পেন-এর এই উচ্চ মূল্যের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। শীতকালে স্কি করার জন্য এই শহরটি বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
শীতকালীন ক্রীড়া প্রেমীদের কাছে এটি খুবই আকর্ষণীয় একটি জায়গা। এছাড়াও, গ্রীষ্মকালে এখানকার মনোরম দৃশ্য এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও পর্যটকদের আনাগোনা থাকে।
গবেষকদের মতে, এই শহরে ভ্রমণের প্রধান খরচগুলো হলো:
এই গবেষণা আরও দেখিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে সাশ্রয়ী রাজ্য হলো ফ্লোরিডা। এখানে ভ্রমণের গড় খরচ প্রায় ১,৬৩০ মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে, সবচেয়ে সস্তা বিয়ার পাওয়া যায় মিসৌরির ব্রানসন-এ, যার গড় দাম মাত্র ৩.৫০ মার্কিন ডলার।
যদি আমরা বাংলাদেশের পর্যটকদের কথা চিন্তা করি, তবে এই খরচগুলো তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
উদাহরণস্বরূপ, কক্সবাজারের মতো একটি জনপ্রিয় স্থানে তিন দিনের ভ্রমণের খরচ যেখানে ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে, সেখানে আস্পেনে একই সময়ের জন্য প্রায় ১৫ গুণ বেশি খরচ হতে পারে।
ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময়, গন্তব্যের খরচ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। বিশেষ করে, যারা সীমিত বাজেট নিয়ে ঘুরতে চান, তাদের জন্য এই ধরনের তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: Travel and Leisure