1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
August 13, 2025 10:06 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
পাথরকান্ডে সংশ্লিষ্টরা কেউ দায় এড়াতে পারেন না-আহমেদ আবু জাফর পরিবেশ রক্ষায় ‘সাদা পাথর’-এর গুরুত্ব ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সভাপতি ও অফিস সহকারির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ কাউখালীতে দুর্যোগ আগাম কার্যক্রম বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত কাউখালীতে শিক্ষার্থীদের নিজ গ্রাম সম্পর্কে জানি, শীর্ষক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত আলাস্কা থেকে সত্যিই রাশিয়া দেখা যায়! ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে চাঞ্চল্যকর তথ্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার আসল কারণ কি মানসিক স্বাস্থ্য? চাঞ্চল্যকর তথ্য! ট্রাম্পের ক্ষমতা, রাশিয়ার হুমকি এবং কোভিড-১৯ মাদারীপুরে ৪০০ শিক্ষার্থীদের ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা ক্রিস্টিয়ান কোলম্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন শ্যাকারি রিচার্ডসন, তোলপাড়!

ট্রান্সিলভেনিয়া: রহস্যে মোড়া এক জীবনের গল্প!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Thursday, June 19, 2025,

সুদূর ট্রান্সিলভেনিয়ার এক গ্রামে, যেখানে সুখ আর দীর্ঘ জীবনের চাবিকাঠি লুকিয়ে।

পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়ার একটি অঞ্চলে, যেখানে প্রকৃতির কোলে আজও লুকিয়ে আছে এক ভিন্ন জগৎ। এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি, আর ঐতিহ্য যেন এক শান্তির আশ্রয়স্থল।

সম্প্রতি জানা গেছে, এই অঞ্চলের একটি গ্রাম, কারাকসনিফালভা, দীর্ঘ ও সুখী জীবনের রহস্য ধারণ করে আছে। এই গ্রামের জীবনযাত্রা কেমন, সেখানকার মানুষজন কিভাবে জীবন ধারণ করে, আসুন সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক।

কারাকসনিফালভা গ্রামটি হাঙ্গেরীয় জনগোষ্ঠীর মানুষজন দ্বারা অধ্যুষিত। যুগ যুগ ধরে তারা এখানে বসবাস করে আসছেন।

এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার কেন্দ্রবিন্দু হল ‘কোজবির্তোকোসাগ’ নামক একটি ব্যবস্থা। এটি অনেকটা যৌথ মালিকানার মতো, যেখানে গ্রামের মানুষ মিলিতভাবে জমি, বন ও অন্যান্য সম্পদ দেখাশোনা করেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামের প্রায় সবাই শীতকালে পর্যাপ্ত জ্বালানি কাঠ পান।

গ্রামের এই জীবনযাত্রাকে টিকিয়ে রাখতে প্রধান ভূমিকা পালন করেন ৭০ বছর বয়সী অরবান চাবা। তিনি কোজবির্তোকোসাগের প্রধান। কম্যুনিজমের সময়ে যখন এই গ্রামের ঐতিহ্য বিলুপ্ত হতে বসেছিল, তখন অরবান-ই লড়াই করে আবার সবকিছু ফিরিয়ে আনেন।

বর্তমানে, অরবান এই গ্রামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করছেন। তিনি এখানকার পুরনো রীতি-নীতিগুলি সংরক্ষণ করেন এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।

এই গ্রামের মানুষেরা প্রকৃতির সঙ্গে এক নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখেন। এখানকার অধিবাসীরা আজও তাদের খাদ্য উৎপাদন করেন এবং নিজেদের উৎপাদিত খাবার খান।

শীতকালে শুকরের মাংস কাটার উৎসব হয়, যা সারা বছরের জন্য খাদ্য সংরক্ষণে সাহায্য করে। এই উৎসবে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে আনন্দ করেন।

তবে, আধুনিকায়নের যুগে এই গ্রামের মানুষের জীবনেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই কাজের সন্ধানে গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমাচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

কিন্তু এত প্রতিকূলতার মাঝেও, কারাকসনিফালভার মানুষ তাদের ঐতিহ্য আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। তারা তাদের পরিবার, সমাজ, এবং প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

অরবান চাবার মতে, এই গ্রামের মানুষগুলো তাদের নিজেদের ঐতিহ্যকে ভালোবাসেন এবং তা ধরে রাখতে চান।

এই গ্রামের জীবনযাত্রা আমাদের অনেক কিছু শেখায়। এটি প্রমাণ করে যে, প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে এবং ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়েও একটি সুখী জীবন যাপন করা সম্ভব।

তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT