যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে, এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হলো গ্লাস্টনবারি শহর। অবসরপ্রাপ্ত ৭৩ বছর বয়সী পুলিশ গোয়েন্দা মেরি নটারানগেলোকে তাঁর নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
গত জুলাই মাস থেকে নিখোঁজ থাকার পর, ফেব্রুয়ারিতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, অতিরিক্ত আবর্জনা এবং জিনিসপত্রের স্তূপের নিচে চাপা পড়ে ছিলেন তিনি।
মেরি নটারানগেলো ১৯৯৬ সালে ব্রিজপোর্ট পুলিশ বিভাগ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। খবর অনুযায়ী, তাঁর বাড়িতে জিনিসপত্র জমিয়ে রাখার প্রবণতা ছিল, যা ‘হোয়ার্ডিং’ নামে পরিচিত একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ।
এই কারণে, তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করা এবং তাঁকে খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। ঘটনার কয়েক মাস আগে, মেরির এক বন্ধু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি সম্পর্কে জানানোর পর, কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর কুশল জানতে চাওয়ার আবেদন করেন।
এরপর পুলিশ কয়েকবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায়, কিন্তু বাড়ির ভেতরের পরিস্থিতির কারণে তারা প্রবেশ করতে পারছিল না।
অবশেষে, উদ্ধারকর্মীরা যখন প্রবেশ করেন, তাঁরা দেখেন যে বাড়ির প্রবেশপথে প্রায় ছয় ফুট উঁচু আবর্জনার স্তূপ জমে ছিল। ঘরের ভেতরটা ছিল মৃত পাখি এবং ইঁদুরের খাঁচা সহ নানান আবর্জনায় পরিপূর্ণ।
মেরি নটারানগেলোর মরদেহ সম্ভবত তাঁর বাড়ির সামনের দিকের আবর্জনার স্তূপের কাছে পাওয়া যায়। শরীরের কঙ্কালসার অবস্থার কারণে মৃত্যুর কারণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।
গ্লাস্টনবারি পুলিশ বিভাগের প্রধান মার্শাল পোর্টার এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন। মেরির এক বন্ধু এবং প্রাক্তন সহকর্মী প্যাটি স্টিভস, তাঁকে একজন ভালো মনের মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
স্টিভস আরও জানান, মেরি তাঁর ধর্ম এবং পেশার প্রতি অনুরাগী ছিলেন এবং তাঁর পশুপাখিদের খুব ভালোবাসতেন। তিনি মেরিকে তাঁর এই অতিরিক্ত জিনিসপত্র জমিয়ে রাখার বিষয়ে কথা বলতে চেষ্টা করেছিলেন, তবে মেরি তাতে রাজি হননি।
এই ঘটনা মানসিক স্বাস্থ্য এবং সমাজে একাকীত্বের গুরুত্বের ওপর নতুন করে আলোকপাত করে।
তথ্য সূত্র: পিপল