নাইজেরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে ছাত্রীদের ব্রা পরিধান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ওলাবিসি ওনাবানজো ইউনিভার্সিটি (OOU)-তে কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পরীক্ষার হলের বাইরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রীদের শরীর স্পর্শ করে ব্রা আছে কিনা, তা পরীক্ষা করছেন কয়েকজন নারী।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও’র সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ঘটনাটি তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।
তবে, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
অনেকে এই পদক্ষেপকে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের এক নেতা মুইজ ওলানরেওয়াজু ওলাতুঞ্জি জানান, ‘নো ব্রা, নো এন্ট্রি’ নীতি নতুন নয়।
তিনি আরও বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোশাকবিধি শিক্ষার্থীদের শালীন ও মার্জিত পোশাক পরতে উৎসাহিত করে, যা তাদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন বিষয়গুলো থেকে দূরে রাখে।
তবে মানবাধিকার আইনজীবী ইনিবেহে এফিয়ং এই নীতিকে ‘জবরদস্তি’ এবং ‘স্বেচ্ছাচারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
তাঁর মতে, ছাত্রীদের ব্রা আছে কিনা, তা পরীক্ষার জন্য তাঁদের শরীর স্পর্শ করা ‘অবমাননাকর’ ও ‘অসম্মানজনক’।
এমনকি, কোনো কোনো শিক্ষার্থীর ব্রা পরতে শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এমন পরিস্থিতিতে এই ধরনের বিধি তৈরি করা হলে তা গুরুতর উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ওলাতুঞ্জি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
কিভাবে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে আরও উপযুক্ত ও সম্মানজনক একটি সমাধান খুঁজে বের করা যায়, সে বিষয়ে তারা কাজ করছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন