পশ্চিম ভার্জিনিয়ার বন্যায় ১৯ বছর বয়সী যুবক ট্র্যাভিস ক্রেইটনের মর্মান্তিক মৃত্যু, শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। গত ১৪ই জুনের ভয়াবহ বন্যায় আট জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ট্র্যাভিস।
জানা গেছে, এই তরুণ তার উষ্ণতা ও বন্ধুত্বের জন্য পরিচিত ছিলেন।
ট্র্যাভিসের বাবা ব্রায়ান ক্রেইটন, যিনি নিজেও ছেলেকে হারিয়েছেন, কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তারা দু’জনে প্রতিদিন একসাথে কাজে যেতেন এবং একে অপরের সাথে ভালো দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন।
এখন সেই স্মৃতিগুলোই কেবল অবশিষ্ট।
ট্র্যাভিসের বোন শেলবি জানান, তার ভাই ছিলেন হাসিখুশি এবং প্রাণবন্ত একজন মানুষ, যার ছিল বিশাল হৃদয়। তিনি বলেন, “ট্র্যাভিস খুব দ্রুত আমাদের ছেড়ে চলে গেল।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ট্র্যাভিস এবং তার পরিবার সিনেমা দেখছিলেন।
হঠাৎ খবর আসে, তাদের বাড়ির কাছের একটি নদীর জল দ্রুত বাড়ছে। ব্রায়ান ও পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদের গাড়িগুলো সরানোর জন্য বের হন।
ব্রায়ান যখন তার স্ত্রী ডোনাকে ফোন করেন, তখন তিনি কোনো সাড়া পাননি।
পরে জানা যায়, তাদের বাড়িটি ভেঙে পড়েছে এবং ডোনা, ট্র্যাভিস ও তাদের তিনটি কুকুর বাড়ির ভেতরে আটকা পড়ে।
ব্রায়ান জানান, তার স্ত্রী কোনোমতে বেঁচে গেছেন।
তিনি বলেন, “ডোনা গুরুতর আহত হলেও, কোনো হাড় ভাঙেনি। আমি এখনো অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। আমার মনে হয়, ট্র্যাভিসই মাকে বাঁচিয়েছেন।
পরিবারটির এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে একটি GoFundMe পেজ খোলা হয়েছে।
শেলবি লিখেছেন, “আমরা সেদিন সবকিছু হারিয়েছি, কিন্তু আমরা একে অপরের হাত ধরে শোক কাটিয়ে উঠছি।
তিনি আরও যোগ করেন, “ট্র্যাভিসের বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর, কিন্তু তার হৃদয় ছিল দ্বিগুণ বয়সের মানুষের চেয়েও বড়।
সে কোনো দ্বিধা ছাড়াই যে কারো জন্য নিজের সবকিছু উজাড় করে দিতে পারত।
যে ঘরেই সে যেত, সেই ঘর আলোয় ভরে যেত—এবং যারা তাকে চিনত, সবাই তাকে ভালোবাসত।
পশ্চিম ভার্জিনিয়ার এই ঘটনায় শোকাহত পরিবারটির প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসাটা অত্যন্ত জরুরি।
আপনারা চাইলে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিতে পারেন।
তথ্য সূত্র: পিপলস