1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
August 14, 2025 3:11 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
বেবি শার্ক: চূড়ান্ত লড়াইয়ে হার! কোটি শিশুর প্রিয় গান নিয়ে চাঞ্চল্যকর রায় আনডকুমেন্টেডদের বাদ দিয়ে প্রেসিডেন্টের নির্দেশে নতুন সেনসাস ২০ স্টেটের মামলা সত্ত্বেও স্নাপ বেনিফিট গ্রহণকারীরা শংকায় আমেরিকায় ইমিগ্রেশন পলিসি আরও কঠোর: বিয়ে ও ফ্যামিলি স্পন্সরশিপ ঝুঁকিপূর্ণ গভর্নর হকুলের হিজাব পরা: সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক ও সিনেটর ক্রুজের মন্তব্য বড়দিনে হোয়াইট হাউজে স্বেচ্ছাসেবক ও পারফর্মার হিসেবে সুযোগ ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে হাউজিং ও নির্মাণ খাতে সংকট সাশ্রয়ী আবাসন বৃদ্ধিতে নিউইয়র্ক সিটি প্রশাসনের নজির- ৪ লাখের বেশি ইউনিট তৈরি ও পরিকল্পনা ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীনদের দ্রুত সরানোর নির্দেশ ট্রাম্পের প্রেমিকার আংটির জন্য হিরের খোঁজে, অতঃপর…

আব্রেরো গার্সিয়ার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের মামলা: চাঞ্চল্যকর তথ্য!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Friday, June 20, 2025,

যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুল আলোচিত মানব পাচার মামলার তদন্তের দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিলার অ্যাব্রেগো গার্সিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণগুলি কতটা নির্ভরযোগ্য, তা নিয়ে বিচারকের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

এমনকি, তাকে কারাগারে আটকে রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গার্সিয়াকে ভুল করে এল সালভাদরের একটি কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পরে তাকে আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হয় এবং মানব পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।

ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘটনাটিকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের উপস্থিতির বিপদ হিসেবে তুলে ধরেছিল।

মামলার শুনানিতে বিচারক বারবার আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, আসামিকে কেন কারাগারে রাখা হবে?

আইনজীবীরা জানান, গার্সিয়া সম্ভবত পালিয়ে যেতে পারেন, কারণ তিনি ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন।

তবে বিচারক এই যুক্তিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, গার্সিয়ার যদি জামিন নাও হয়, তবুও তাকে অভিবাসন সংক্রান্ত হেফাজতে থাকতে হতে পারে।

আদালতে শুনানির সময়, গার্সিয়ার আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, প্রসিকিউটরদের পেশ করা প্রমাণগুলো যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য নয়।

আইনজীবীরা এমন কিছু বিষয় তুলে ধরেন যা বিচারকের মনে সন্দেহের জন্ম দেয়।

মামলার তদন্তে উঠে আসা কিছু বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো:

  • ২০২২ সালে, টেনেসিতে একটি ট্রাফিক স্টপে গার্সিয়াকে একটি গাড়িতে পাওয়া যায়। গাড়িতে গার্সিয়ার সাথে আরও নয়জন লোক ছিলেন, যাদের কাছে কোনো পরিচয়পত্র বা লাগেজ ছিল না।
  • অভিযোগ রয়েছে, গার্সিয়া টেক্সাস থেকে মেরিল্যান্ডে অন্য কিছু লোককে একটি এসইউভিতে করে পাচার করছিলেন।
  • আদালতে প্রসিকিউটররা প্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিও উপস্থাপন করেন, যেখানে গাড়ির ট্রাফিক স্টপ দৃশ্যমান। এছাড়া, পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজও দেখানো হয়।
  • গার্সিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হলো, গাড়িতে থাকা ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর সিটবেল্ট পরেনি। আইনজীবীরা এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
  • তদন্তকারীরা জানান, গার্সিয়া যে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন, সেটি আগে পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত একজনের ছিল।
  • আদালতে কয়েকজন সহযোগীর জবানবন্দি পেশ করা হয়। তাদের মধ্যে একজন একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন। অন্য একজন মানব পাচারের কথা স্বীকার করেছেন।
  • গার্সিয়ার আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মামলাটি সাজানো হয়েছে। তাদের নিজেদের সাজা কমানোর জন্য মিথ্যা বলার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • শুনানিতে গার্সিয়ার আইনজীবীরা কিছুhearsay evidence (যে প্রমাণ সরাসরি শোনা বা দেখা হয়নি) নিয়েও আপত্তি জানান।

মামলার শুনানিতে গার্সিয়ার আইনজীবীরা প্রসিকিউটরদের আনা অভিযোগের দুর্বলতাগুলো তুলে ধরেন। তাদের যুক্তি ছিল, অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্য কতটা নির্ভরযোগ্য, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

আদালতে দেওয়া বক্তব্যে বিচারক বলেন, গার্সিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণগুলো যথেষ্ট নয়।

এছাড়া, মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ করতেও প্রসিকিউটরদের বেগ পেতে হচ্ছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই মামলার রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে অবৈধ অভিবাসন বিরোধী প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT