যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুল আলোচিত মানব পাচার মামলার তদন্তের দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিলার অ্যাব্রেগো গার্সিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণগুলি কতটা নির্ভরযোগ্য, তা নিয়ে বিচারকের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
এমনকি, তাকে কারাগারে আটকে রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গার্সিয়াকে ভুল করে এল সালভাদরের একটি কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পরে তাকে আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হয় এবং মানব পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘটনাটিকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের উপস্থিতির বিপদ হিসেবে তুলে ধরেছিল।
মামলার শুনানিতে বিচারক বারবার আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, আসামিকে কেন কারাগারে রাখা হবে?
আইনজীবীরা জানান, গার্সিয়া সম্ভবত পালিয়ে যেতে পারেন, কারণ তিনি ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন।
তবে বিচারক এই যুক্তিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, গার্সিয়ার যদি জামিন নাও হয়, তবুও তাকে অভিবাসন সংক্রান্ত হেফাজতে থাকতে হতে পারে।
আদালতে শুনানির সময়, গার্সিয়ার আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, প্রসিকিউটরদের পেশ করা প্রমাণগুলো যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য নয়।
আইনজীবীরা এমন কিছু বিষয় তুলে ধরেন যা বিচারকের মনে সন্দেহের জন্ম দেয়।
মামলার তদন্তে উঠে আসা কিছু বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো:
মামলার শুনানিতে গার্সিয়ার আইনজীবীরা প্রসিকিউটরদের আনা অভিযোগের দুর্বলতাগুলো তুলে ধরেন। তাদের যুক্তি ছিল, অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্য কতটা নির্ভরযোগ্য, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
আদালতে দেওয়া বক্তব্যে বিচারক বলেন, গার্সিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণগুলো যথেষ্ট নয়।
এছাড়া, মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ করতেও প্রসিকিউটরদের বেগ পেতে হচ্ছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই মামলার রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে অবৈধ অভিবাসন বিরোধী প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন