ব্রিটিশ বিমানঘাঁটিতে ফিলিস্তিনপন্থীদের হামলা, বিমানের ক্ষতিসাধন।
যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটিতে ফিলিস্তিনের অধিকারের পক্ষের কর্মীরা প্রবেশ করে দুটি সামরিক বিমানের ক্ষতিসাধন করেছে। শুক্রবার ভোরে, ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ারের রয়্যাল এয়ার ফোর্স (আরএএফ) ব্রাইজ নর্টন বিমানঘাঁটিতে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ফিলিস্তিন অ্যাকশন নামক একটি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি বৈদ্যুতিক স্কুটারে করে বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রবেশ করে এবং দুটি এয়ারবাস ভোয়েজার বিমানের ইঞ্জিনগুলোতে লাল রং স্প্রে করে।
সংগঠনটি দাবি করেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জন্য সামরিক সরঞ্জাম বহন এবং তাদের যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সামরিক বিমানের জ্বালানি সরবরাহের কারণে তারা এই বিমানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
ফিলিস্তিন অ্যাকশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্রিটেন শুধু এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতই নয়, বরং গাজায় ‘গণহত্যা’ এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের সক্রিয় অংশীদার। তাদের মতে, দুটি সামরিক বিমান অকার্যকর করার মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে এবং প্রতিরোধ করেছে।
তবে, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (Ministry of Defence) সূত্র জানিয়েছে, আরএএফ ভোয়েজার বিমানগুলো ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য কোনো সরঞ্জাম বহন করে না বা ইসরায়েলি বিমানের জ্বালানি সরবরাহ করে না।
এই ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে কর্মীরা এত সহজে বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ করতে পারল। ব্রাইজ নর্টন বিমানঘাঁটিতে প্রায় ৫,৮০০ জন সেনা সদস্য, ৩০০ বেসামরিক কর্মচারী এবং ১,২০০ জন ঠিকাদার কাজ করেন।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ‘রয়্যাল এয়ার ফোর্স’-এর সম্পদের ওপর এই ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং ঘটনার তদন্তে পুলিশের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার এই ঘটনাকে ‘ধ্বংসাত্মক কাজ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং একে ‘গর্হিত’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
তথ্য সূত্র: CNN